পঞ্চায়েত ভোটের ফলে সকলেরই নজর ছিল হুগলির বলাগড়ের দিকে। আর সেখানেই জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনুর বাড়ি যে এলাকায় সেখানকার বুথ থেকে পঞ্চায়েত, সর্বত্র সবুজ ঝড়। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার আদালত চত্বরে বলেছিলেন, এবার পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফলই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দেখা গেল, সেটাই হয়েছে। শান্তনুর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ভোট দিতে গিয়েও বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলেই আস্থা রাখার কথা। শান্তনু গ্রেফতারের পর অবশ্য তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল।
advertisement
আরও পড়ুন – Panchayat Election Results: ফের ঝরে গেল প্রাণ, ভোররাতে ‘এই’ জেলা থেকে উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর দেহ
তবে শান্তনুর পরিবার আস্থা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসেই। শান্তনু একাধিকবার ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও বারবার দাবি করেছেন, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোনওভাবেই যুক্ত নন হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস করার কারণেই যে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে হেনস্থা করানো হচ্ছে, উঠে এসেছিল সেই অভিযোগ।
এরই মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উড়ল সবুজ আবির। শান্তনু শ্রীপুর-বলাগড় পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে এই পঞ্চায়েত এলাকায় ২১টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল। এবার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। তৃণমূলের জয় ১৬টিতে, বিজেপি জিতেছে পাঁচটি আসনে। ২টি আসনে নির্দল জিতেছেন, সিপিআইএম পেয়েছে ২টি আসন।
শান্তনুর গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে পথে নেমেছিল সিপিআইএম। কিন্তু মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি বামেরা। নির্দলদের মধ্যে একজনকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি। তিনি ৬৫০ ভোটের মধ্যে একাই ৩৭৭টি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। প্রার্থী তালিকা নিয়ে দড়ি টানাটানি না থাকলে তৃণমূলের আসন আরও বাড়তে পারত।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি বলাগড়ের বারুইপাড়ায়। সেখানকার বুথ থেকে জয়লাভ করেছেন সুরুই টুডু। সুরুই টুডু জানিয়েছেন, ইডি-সিবিআই করে কোনও লাভ নেই। সরকার এখানকার মানুষের জন্য যা করেছেন তা কেউ ভোলেননি। এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে সরে আসুক। পাশাপাশি নির্বাচিত সদস্য দেখা করেন বিদায়ী সদস্য সুস্মিতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে, যিনি আবার সম্পর্কে শান্তনুর ভ্রাতৃবধূ।
ABIR GHOSHAL