বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন। বিপুল পরিমান বোমা উদ্ধারে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। এলাকার বাসিন্দা সুমিত মন্ডল বলেন, ‘‘একেই চারিদিকে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। তারওপর ভোট গণনার দিন আমাদের এলাকা থেকে এত পরিমানে বোমা উদ্ধারে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আশেপাশেই অনেক বাড়িঘর, প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। আমরা চাই এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।’’
advertisement
আর ভোট গণনার দিন এলাকায় বোমা বিস্ফোরনে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে শাসকদল ও বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কমলেশ চ্যাটার্জী বলেন, মুর্শিদাবাদ তথা পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ভোটের আগে ও ভোটের পড়ে তা ব্যবহার হচ্ছে। শাসকদল ছাড়া অন্য কারোর পক্ষে এত পরিমান বোমা মজুত রাখা সম্ভব নয়। প্রশাসনের উচিত কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া। তৃণমূল নেতা নজরুল ইসলাম টারজেন বলেন, বিরোধীরা অশান্তি ছড়ানোর জন্য বোমা, বারুদ, আগ্নেয়াস্ত্র সব মজুত করে রেখেছে ভোটের আগে থেকে। আমাদের পক্ষ থেকে সকলকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ন ভোটের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়েছি। বিরোধীদের বারুদ ও বোমা মজুত করার সমস্ত তথ্য ও চিত্র আমাদের কাছে আছে। সঠিক সময়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেব। প্রশাসনকে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
একদিকে চলছে ভোট গণনা অন্যদিকে বোমা বিস্ফোরনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভরতপুর। মঙ্গলবার ভরতপুর ১নং ব্লকের আমলাই বাটিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যলয়ের কাছে মজুত থাকা সকেট বোমা বিস্ফোরনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভরতপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বিপুল পরিমানে বোমা উদ্ধার করে। বোম স্কোয়াড কর্মীদের খবর দেওয়া হয় বোমা গুলি নিক্রিয় করার জন্য।
Pranab Kumar Banerjee
