চোপড়ার পর এদিন দফায় দফায় অশান্ত হয় ভাঙড়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ISF- এর। মৃত আইএসএফ কর্মীর নাম মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা। ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গুলির আঘাতেই তাঁদের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে ISF এর তরফে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়! ধন্যবাদ দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভাঙড় ২ বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ওই ISF কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের সামনে গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ দিনমনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা বর্ষণ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। এদিন সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। দফায় দফায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে বিরোধ বাধে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে একে ওপরের বিরুদ্ধে তেড়ে যেতে দেখা যায়। যথেচ্ছ বোমা বাজি হয় ব্লক অফিস চত্বরে।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, কাঠালিয়া মোড়ে ISFএর তরফে বোমা মারা হয়েছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। দুই পক্ষের কর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। গোটা পরিস্থিতি বিপজ্জনক দিতে শুরু করে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গোটা এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ‘আমি অভিভূত…!’ তৃণমূলের নব জোয়ারের ৫০তম দিন, ডায়মন্ড হারবারে আবেগে ভাসলেন অভিষেক
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠ এলাকার কার্যত দখল নিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ISF এর তরফে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। পরিস্থিতি সেই সময় থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। এরপর ISF কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।