লকেটের অভিযোগ, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে মরিয়া তৃণমূল, যে কারণে আজকে ভাঙর, কাকদ্বীপ, বজবজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হচ্ছে। মানুষ এবার দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়বে সমর্থন করবে। যে দল ৩৪ বছরের বামেদের সরিয়ে দিয়েছিল, তারা নিজেদের ভিতর গন্ডগোল করেই শেষ হবে। ২০১৮ সালে বহু জায়গায় মনোনয়ন দাখিল করতে দেয়নি। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছে। যেখানে বাধা দিচ্ছে সেখানে লড়াই হচ্ছে। আরে এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করে উঠতে পারছেন না, কার লবির লোক দাঁড়াবে।’
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের যেমন কথা-তেমন কাজ! কেশপুরের ২ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণায় বিরাট চমক তৃণমূলের
ভোটের আগে বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেবে বলেও দাবি করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘যাঁরা টিকিট পাবে না, তাঁরা এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাহায্য করবে। তাঁরা তৈরি হয়ে আছেন, বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে। বোমা নিয়ে গাড়িতে ঘুরছে কাকে কাকে মারবে সেটা টার্গেট করে রেখেছে ওরা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক্তিয়ার আছে যদি কেউ বিপদে পড়েন, তাঁরা অভিযোগ জানায় তাহলে মানবাধিকার কমিশন আসতে পারে। কোনও মানুষ যদি আক্রান্ত হন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দরজা খোলা আছে।’
আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের জন্য বিরাট নির্দেশ! সব ছুটি বাতিল, বড় চ্য়ালেঞ্জের মুখোমুখি উর্দিধারীরা
এদিন হুগলি সদর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীদের নিয়ে পিপুলপাতি থেকে মিছিল করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কড়া পুলিশি পাহাড়ায় প্রার্থীদের সঙ্গে মহকুমা শাসকের দফতর অবধি যান সাংসদ। মহকুমা অফিসে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপির জেলা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী।
সৈকত বিশ্বাস