বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর কয়েক দিন আগেই পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বুধবারই ফেরার কথা ছিল তাঁদের। ফিরলেনও, তবে স্বামীকে কফিনবন্দি অবস্থায় নিয়ে ফিরতে হল তাঁর স্ত্রী শবরীকে। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সমীরকে নির্বিচারের গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা।
advertisement
অপরদিকে, পাটুলির বিতানও স্ত্রী সোহিনী এবং সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরেও বাড়িতে ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তখনও পরিবারের সঙ্গে আনন্দে ঘুরছিলেন বিতান। কিন্তু তার কিছু সময় পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। সোহিনীর সামনেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন বিতান। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দেহ ফিরতেই সোহিনী সন্তানকে দেখিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ওর চোখের সামনে ওর বাবাকে মেরেছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্য সরকার এর তরফে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ সহ বিজেপি নেতৃত্বরাও।
বিমানবন্দর থেকেই বিতান এবং সমীরের দেহ শববাহী শকটে করে তাঁদের বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Rudra Narayan Roy