২০২৪ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান দুখু মাঝি। এদিকে রাজ্য প্রশাসনের নথি বলছে ২০১৬-২০১৭ অর্থবর্ষেই আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম ওঠে। দ্রুত সেই বাড়ি তৈরিও হয়ে যায়। তবে এটা ঠিক সেই বাড়িতে দুখু মাঝি নিজে বসবাস করেন না। পুরুলিয়া জেলার বাগমুণ্ডি ব্লকে নিজের পৈত্রিক ভিটেতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন দুখু মাঝি। সেই পৈত্রিক ভিটের অবস্থা বেশ সঙ্গীন। তার একাংশ ভেঙে পড়েছে এবং যা অবস্থা তাতে আরেকটু ঝড়-বৃষ্টি হলে পুরো বাড়িটা ভেঙে পড়তে পারে। স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনরকমে ঠেকনা দেওয়া আছে। আর এখানেই প্রশ্ন, আবাস যোজনার বাড়ি তাহলে কোথায় গেল?
advertisement
আরও পড়ুন: পুজো দিতে এসে ফেরেনি, দু’দিন ধরে নদীর পাড়ে মেয়ের জুতো আগলে বসে বাবা…
এর উত্তর দুখু মাঝি নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর বড় ছেলের পরিবার অনেক বড়। তাই সরকার থেকে আবাস যোজনায় তিনি যে বাড়ি পেয়েছেন সেখানে বড় ছেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করে। আর তিনি পৈত্রিক ভিটেতে থাকেন। এরপরই পদ্মশ্রী প্রাপকের দাবি, এই বয়সে একটু ভাল করে বাঁচতে চান। তার জন্য মাথার উপর পাকা ছাদ দরকার। তাই তার আরও বাড়ি প্রয়োজন। দুখু মাঝির বক্তব্য থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, আবাস যোজনার বাড়ি পাননি বলে তিনি যে দাবি করেছিলেন তা মোটেও সঠিক নয়। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা থেকে তিনি প্রকৃত সত্য চেপে গিয়েছিলেন বলে অনেকে মনে করছেন।
এদিকে দুখু মাঝি জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রাজ্য সরকার থেকে নিয়মিত বার্ধক্য ভাতা পান। তাঁর বিশেষভাবে সক্ষম ছোট ছেলেও ভাতা পায়। উল্লেখ্য ভিডিও বার্তায় প্রথমে এই পদ্মশ্রী প্রাপক দাবি করেছিলেন রাজ্য প্রশাসন থেকে কোনরকম সাহায্য পান না।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব মামলায় বাংলার পঞ্চায়েত প্রধানকে তলব অসমের আদালতে!
সব মিলিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে নজির গড়া দুখু মাঝির এমন অসত্য কথায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।