এ যেন শর্ষের মধ্যেই ভূত। বালি-পাথর বোঝাই লরির ওভার লোডিং আটকাতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। কিন্তু, যাঁদের কাঁধে সেই দায়িত্ব, তাঁদের বিরুদ্ধেই যে দুর্নীতির অভিযোগ। এক এসএমএস-এই উত্তর দিনাজপুরে ওভার লোডিং লরির অবাধ যাতায়াত।
মোটর ভেইক্যালের নিয়ম
- ১২ চাকার লরি সমেত ৩১টন পণ্য পরিবহণে ছাড়
advertisement
- ৩১টনের বেশি হলেই দিতে হবে জরিমানা
- প্রয়োজনে অতিরিক্ত বালি-পাথর বাজেয়াপ্ত
জেলার মোটর ভেইক্যাল ইন্সপেক্টর দফতরের সামনে লরি থেকে খালি করা হচ্ছে পাথর। চালক-খালাসিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এসএমএস নেই। তাই বাজেয়াপ্ত পাথর।
কিন্তু, কী এই এসএমএস?
১ এসএমএসেই পার
- মোটর ভেইক্যাল ইন্সপেক্টর এসএমএস পাঠান কর্মরত কর্মীদের
- এসএমএসে পরপর লেখা থাকে একাধিক লরির নম্বর
- যে গাড়ির নম্বর এসএমএসে রয়েছে, তাদের ওভার লোডিং-এ ছাড়
- এসএমএস না থাকলেই বাজেয়াপ্ত পাথর, জরিমানা
- এসএমএসের জন্য মাসোহারা ৩,৫০০ টাকা
9733432755। এই নম্বর থেকেই আসে এসএমএস। কিন্তু এর পিছনে কার হাত? উঠে আসছে জেলার এমভিআই কর্তা সুভাষ বর্মনের নাম। এমভিআই কর্মীদের মোবাইলে তাঁর নম্বর থেকেই একাধিক এসএমএস-এর ছবি ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। কী বলছেন এমভিআই কর্তা? একেবারে স্পিকটি নট।
সুভাষবাবু মানতে না চাইলেও, এমভিআই-এর এক কর্মী কিন্তু এই নম্বরটি সুভাষবাবুর বলেই দাবি করলেন।
ইন্দ্রজিৎ দাসের থেকে তথ্য যাচাই করে ফের MVI দফতরে সুভাষবাবুর সঙ্গে দেখা করতেই, তিনি বেমালুম ফোন সুইচ অফ করে দিলেন। চোখে মুখে ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাটা স্পষ্টই।
সরকারি কর্মী থেকে লরি চালক। সকলের মুখেই এসএমএস- তথ্য। উঠে আসছে MVI কর্তার নামও। কিন্তু, মিথ্যে অভিযোগ বলেই পিঠ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন সুভাষ বর্মন। শুধুই কী সুভাষবাবু, নাকি হাত অনেকটাই লম্বা? উত্তর খুঁজতে তদন্ত প্রযোজন। আপাতত পয়ত্রিশশো টাকার এসএমএসেই চলছে দিনেদুপুরে রমরমা বেআইনি কারবার।