ইতিমধ্যেই নদীর ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে দুটি পরিবার। এ ছাড়াও, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার শতাধিক পরিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবার এলাকার এক পরিচিতের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন।
advertisement
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানান হয়েছে, কিন্তু মেলেনি কোনও কার্যকর পদক্ষেপ। শুধু আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা বেরা জানান, “এই কাজ পঞ্চায়েত সমিতির আওতার বাইরে। বিষয়টি আমরা উপরমহলে জানিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন প্রশাসনের কাছে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, “আমরা পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সুবর্ণরেখা নদীতে জল ছাড়ার আগে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকায় মাইকিং করে আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, যাতে মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারেন।”
তন্ময় নন্দী