মঙ্গলবার জল ভর্তি (Water Logging)ঘরের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একসঙ্গে মৃত্যু হয় রাজা দাস, তাঁর স্ত্রী পৌলমী এবং এগারো বছরের ছেলে শুভর (Khardah Electrocution Incident)৷ বাবা, মা, দাদার এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকে চার বছরের ছোট্ট শুভ৷ মুহূর্তের বিপর্যয়ে অনাথ হয়ে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি এখন খালি তার মাকে খুঁজছে৷
আরও পড়ুন: চোখের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বাবা-মা-দাদা, খড়দহে সাক্ষী থাকল চার বছরের ছেলে
advertisement
এ দিনও পাতুলিয়ার ওই সরকারি আবাসন চত্বরে প্রায় এক হাঁটু জল ছিল৷ রাজা দাস তাঁর পরিবারকে নিয়ে যে ঘরে থাকতেন, তার ভিতরেও একই অবস্থা৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সুইচ বোর্ড থেকে ফ্রিজের প্লাগ খুলে টেবল ফ্যানের প্লাগ গুঁজতে গিয়ে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রাজা দাস৷ স্বামী বাঁচাতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁর স্ত্রী পৌলমী৷ বাবা-মাকে সাহায্য করতে গিয়ে একই পরিণতি হয় বড় ছেলে শুভর৷ খাটের উপরে থাকায় বরাত জোরে রক্ষা পায় চার বছরের নীল৷ তার কান্নাতেই প্রতিবেশী দু' একজন ছুটে এসে রাজা দাস এবং তাঁর স্ত্রী, পুত্রকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন৷ উদ্ধার করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
বাবা, মা, দাদার যে কোনও বিপদ হয়েছে, তা বুঝেই হয়তো ছোট্ট নীল মঙ্গলবারের পর থেকে চুপচাপ হয়ে গিয়েছে৷ শুধু মাঝে মধ্যে অস্ফুটে বলছে, 'মায়ের কাছে যাবো'৷ দুর্ঘটনার পর নীলের ভবিষ্যৎ নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়৷ খবর পেয়ে এসে পৌঁছন রাজা দাসের ভাই, দিদিরা৷ তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপাতত ঠাকুমার কাছেই থাকবে নীল৷ কারণ রাজা দাসের মা সরকারি পেনশন পান৷ ফলে তিনি নাতিকে বড় করতে পারবেন৷ যদিও, তাঁরাও ভাইপোর খেয়াল রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন নীলের কাকা, পিসিরা৷
Arun Ghosh