TRENDING:

Khardah Electrocution Incident: মাকে খুঁজছে ছোট্ট নীল! কেন ঘর ছাড়ল না দাস পরিবার, আক্ষেপ প্রতিবেশীদের

Last Updated:

এ দিনও পাতুলিয়ার ওই সরকারি আবাসন চত্বরে প্রায় এক হাঁটু জল ছিল৷ রাজা দাস তাঁর পরিবারকে নিয়ে যে ঘরে থাকতেন, তার ভিতরেও একই অবস্থা (Khardah Electrocution Incident)৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#খড়দহ: টানা বৃষ্টিতে একতলার ফ্ল্যাটের প্রায় জানলা পর্যন্ত জল উঠে গিয়েছিল৷ ফলে খড়দহের (Khardah) পাতুলিয়ার গভর্মেন্ট কোয়ার্টারের বসবাসকারী প্রায় সাড়ে সাতশো পরিবারের অধিকাংশই ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু যাঁরা ঘরে থেকে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন হতভাগ্য রাজা দাস এবং তাঁর পরিবার৷
আজও জলমগ্ন খড়দহের পাতুলিয়া আবাসন৷ বছোট্ট নীলের ভরসা এখন তার আত্মীয়রা৷
আজও জলমগ্ন খড়দহের পাতুলিয়া আবাসন৷ বছোট্ট নীলের ভরসা এখন তার আত্মীয়রা৷
advertisement

মঙ্গলবার জল ভর্তি (Water Logging)ঘরের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একসঙ্গে মৃত্যু হয় রাজা দাস, তাঁর স্ত্রী পৌলমী এবং এগারো বছরের ছেলে শুভর (Khardah Electrocution Incident)৷ বাবা, মা, দাদার এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকে চার বছরের ছোট্ট শুভ৷ মুহূর্তের বিপর্যয়ে অনাথ হয়ে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি এখন খালি তার মাকে খুঁজছে৷

আরও পড়ুন: চোখের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বাবা-মা-দাদা, খড়দহে সাক্ষী থাকল চার বছরের ছেলে

advertisement

এ দিনও পাতুলিয়ার ওই সরকারি আবাসন চত্বরে প্রায় এক হাঁটু জল ছিল৷ রাজা দাস তাঁর পরিবারকে নিয়ে যে ঘরে থাকতেন, তার ভিতরেও একই অবস্থা৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সুইচ বোর্ড থেকে ফ্রিজের প্লাগ খুলে টেবল ফ্যানের প্লাগ গুঁজতে গিয়ে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রাজা দাস৷ স্বামী বাঁচাতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁর স্ত্রী পৌলমী৷ বাবা-মাকে সাহায্য করতে গিয়ে একই পরিণতি হয় বড় ছেলে শুভর৷ খাটের উপরে থাকায় বরাত জোরে রক্ষা পায় চার বছরের নীল৷ তার কান্নাতেই প্রতিবেশী দু' একজন ছুটে এসে রাজা দাস এবং তাঁর স্ত্রী, পুত্রকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন৷ উদ্ধার করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

advertisement

বাবা, মা, দাদার যে কোনও বিপদ হয়েছে, তা বুঝেই হয়তো ছোট্ট নীল মঙ্গলবারের পর থেকে চুপচাপ হয়ে গিয়েছে৷ শুধু মাঝে মধ্যে অস্ফুটে বলছে, 'মায়ের কাছে যাবো'৷ দুর্ঘটনার পর নীলের ভবিষ্যৎ নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়৷ খবর পেয়ে এসে পৌঁছন রাজা দাসের ভাই, দিদিরা৷ তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপাতত ঠাকুমার কাছেই থাকবে নীল৷ কারণ রাজা দাসের মা সরকারি পেনশন পান৷ ফলে তিনি নাতিকে বড় করতে পারবেন৷ যদিও, তাঁরাও ভাইপোর খেয়াল রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন নীলের কাকা, পিসিরা৷

advertisement

Arun Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Khardah Electrocution Incident: মাকে খুঁজছে ছোট্ট নীল! কেন ঘর ছাড়ল না দাস পরিবার, আক্ষেপ প্রতিবেশীদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল