বর্তমানে অধিক মুনাফার আশায় অনেকে চাষের জমি থেকে পুকুরের মাছ, সবকিছু চাষেই অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করছেন। কিন্তু সেখানে ব্যাতিক্রমী পথে হেঁটে বসিরহাটের বেশ কিছু চাষি ভরসা রেখেছেন প্রাকৃতিক উপায়ে। তাঁরা বাজারে বিক্রি হওয়া খাবারের ব্যবহার ছেড়ে অর্গানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন। আরও দক্ষভাবে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য তাঁরা সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতেও অংশ নিচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মা টিভি দেখতে পাচ্ছিল না, সেটটপ বক্সে হাত দিতেই ছিটকে পড়ল ছেলে! তারপর…
অর্গানিক পদ্ধতিতে মূলত জলাশয়েই মাছের খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়। মাছ ছাড়ার আগে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জলাশয়ের মাটিকে প্রস্তুত করা হয়, যাতে সহজে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ও জুপ্ল্যাঙ্কটনের বৃদ্ধি ঘটে। এতে মাছ প্রাকৃতিকভাবে খাবার পায়। মাছ চাষিদের বক্তব্য, যেমন জমিতে ভাল ফসলের জন্য সার ব্যবহার জরুরি, তেমনই নির্দিষ্ট মাত্রায় জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করলে জলাশয়ের গুণমান বাড়ে এবং মাছের খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
হাড়োয়া, হাসনাবাদ ও আন্দুলপোতা এলাকায় ইতিমধ্যেই অর্গানিক মাছ চাষের জন্য চাষিদের বারব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মৎস্যচাষি সাহেব আলি বলেন, মাছ ছাড়ার আগে জলাশয়ের মাটিতে চুন ও খোল মেশানো হলে মাটির গুণমান বৃদ্ধি পায়। এর ফলে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণ বাড়ে এবং মাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে। এতে বাইরের খাবারের উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে একদিকে মাছের স্বাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদন খরচও তুলনামূলকভাবে কমছে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন আরও অনেক চাষি। বসিরহাটের মাছ চাষিদের দাবি, ভবিষ্যতের টেকসই মৎস্যচাষে অর্গানিক পদ্ধতি বড় দিশা দেখাতে পারে।