TRENDING:

Orange Festival: সুস্থ-সবল থাকুক খুদেরা! পুষ্টির টানে পটাশপুরের বিদ্যালয়ে কমলালেবু উৎসব, কচিকাঁচাদের পাশাপাশি খুশি অভিভাবকরাও

Last Updated:

Orange Festival: এই কমলালেবু উৎসব ঘিরে ছিল আলাদা উন্মাদনা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজস্ব উদ্যোগে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর হাতে তুলে দিলেন টাটকা কমলালেবু।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পটাশপুর, মদন মাইতিঃ শীতের শুরুতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল কমলালেবু উৎসব। পড়ুয়াদের পুষ্টির যোগান অব্যাহত রাখতে এমন উদ্যোগ নিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের ইটাচনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কমলালেবু উৎসব ঘিরে ছিল আলাদা উন্মাদনা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজস্ব উদ্যোগে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দিলেন টাটকা কমলালেবু। শীতের এই মৌসুমি ফল পেয়ে বেজায় খুশি কচিকাঁচারাও।
advertisement

শুধু ফল বিতরণই নয়, শিক্ষকরা পড়ুয়াদের বোঝালেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কতটা জরুরি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমন কল্যাণ প্রধান বলেন, “আমরা বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করি ঠিকই। তবে সময়মতো ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ফলও তুলে দেওয়া উচিত। এতে তাঁদের পুষ্টির যোগান ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে। এছাড়া পড়ুয়াদের মুখের হাসি আমাদের সবথেকে বেশি ভাল লাগে।”

আরও পড়ুনঃ নাড়া পুড়িয়ে হিতে বিপরীত করছেন চাষিরা! নিজেরাই ডেকে আনছেন নিজেদের সর্বনাশ, সবটা বুঝিয়ে বললেন বিশেষজ্ঞ

advertisement

ইমন কল্যাণবাবুর মতে, সবার আগে শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা উচিত। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিনিয়তই পড়ুয়াদের শারীরিক বৃদ্ধি সঠিক রাখতে চেষ্টা করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পুষ্টি শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দেন তাঁরা। শীতের শুরুতে কমলালেবুর উৎসব সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ।

View More

ইটাচনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ শুধু শীতের মৌসুমি ফলেই সীমাবদ্ধ নয়, বর্ষার সময় তাঁরা পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেন পুষ্টিগুণে ভরপুর পেয়ারা। গ্রীষ্মকালে দেন আম আর কাঁঠাল। আবার কখনও মিড-ডে মিলের দিনের মেনুতে বাড়তি পুষ্টি যোগ করতে দেন পাকা পেঁপে। প্রতিটি ঋতুতেই শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের সংস্থান করার চেষ্টা করে বিদ্যালয়। ফলে শিশুরা শুধু বিদ্যালয়ে এসে পাঠ্যজ্ঞান অর্জন করছে না, পাশাপাশি ফলের গুণাগুণ, ঋতুভেদে ফলের পরিচয়, খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্বও শিখছে। বিদ্যালয়ের এই প্রতিনিয়ত ফল বিতরণ এখন পড়ুয়া উৎসাহিত করে। অভিভাবকরাও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগে দারুণ খুশি।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বর্ধমানের এই কালী 'স্মার্ট গার্ল'! হোয়াটসঅ্যাপে আসে ভক্তদের মনস্কামনা,রোজ মাখেন কসমেটিক্স
আরও দেখুন

তাঁদের মতে, বাড়িতে অনেক সময় বিভিন্ন ফল নিয়মিত দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু বিদ্যালয় সেই ঘাটতি মেটাচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষকরা যখন ফল দেন, তখন শিশুরা আগ্রহ নিয়ে খায়। এতে তাঁদের পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি কমে। অভিভাবকদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে বড় ভূমিকা রাখছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই মানবিক প্রচেষ্টা এলাকাবাসীর কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Orange Festival: সুস্থ-সবল থাকুক খুদেরা! পুষ্টির টানে পটাশপুরের বিদ্যালয়ে কমলালেবু উৎসব, কচিকাঁচাদের পাশাপাশি খুশি অভিভাবকরাও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল