পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। চালু হয়েছে ঝা চকচকে অতিরিক্ত একশো বেডের ইউনিট। বাড়ছে রোগীর ভিড়। অথচ তা সামাল দেওয়ার মতো ডাক্তার নার্স নেই। এমনই ছবি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের। পরিদর্শনে গিয়ে সেই নার্স সঙ্কটের অভিযোগ শুনলেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন-দিঘায় ধুন্ধুমার কাণ্ড! দিন-রাত গোপনে যা চলছিল…! RPF অভিযান চালাতেই তুলকালাম, জানলে আঁতকে উঠবেন
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে সমস্যার কথা শুনলেন স্থানীয় বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। অভিযোগ, পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় একেকজনকে শতাধিক রোগীর দেখভালের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন-৪ কন্যা সন্তানকেই হারিয়েছেন সানি লিওন, শোকে পাথর নায়িকা, ফাঁস করলেন ভয়ানক যন্ত্রণার কথা…
দূর-দূরান্ত থেকে শতাধিক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে নার্সের পদে নিয়োগ হয়নি। কর্মরত নার্সরা জানান, বেডের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই রোগীর চাপও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু নার্স নিয়োগ না হওয়ায় পরিষেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখানে ১০৭ জন রোগীর দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে একজনকেই। এভাবে কতটা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব?
রোগীর পরিজনরাও বিধায়কের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, নার্সের ঘাটতির কারণে পরিষেবার মান মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। এখনই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শাসক দলকে একহাত নিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যঞ্জয় চন্দ্র বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের হাল বেহাল। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, নার্সের সংখ্যা কম হতে পারে। তবে একেবারে নেই এটা ঠিক নয়। ওই হাসপাতালেও দ্রুত নার্সের সংখ্যা বাড়াবে সরকার।