পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা বেঙ্গালুরুতে গিয়ে এই সাইবার কারচুপির পাঠ নেয়। ফিরে এসে পতিরামে গড়ে তোলে এক ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট। আর সেই চক্রের অন্যতম মুখ ট্রান্সজেন্ডার রত্না রায় (২৮)। সাধারণ মানুষকে লোভ দেখিয়ে জোগাড় করত আধার, প্যান, ব্যাঙ্কের তথ্য। এর পর সেই সব নথি দিয়ে বানানো হত বেনামী সিম কার্ড, সেগুলির মাধ্যমে চালানো হত ব্যাঙ্কিং প্রতারণা, ডিজিটাল চুরি, এমনকী দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অপরাধও।
advertisement
আরও পড়ুন- IPL 2025-র প্রথম হ্যাটট্রিক, চমৎকার চাহাল, এদিকে প্রেমও কি চুটিয়ে চলছে, সেটাও বোঝা গেল
পুলিশের দাবি, রত্না রায়ের মাধ্যমে বেনামি সিম কার্ড জোগাড় করত রকিবুল ও মুক্তার। তাদের বাবাও এই একই কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি গত এক বছরে এই সমস্ত কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে কয়েক কোটি টাকা ইতিমধ্যেই হাতিয়ে ফেলে তারা। এই সমস্ত সিমকার্ড ইতিমধ্যেই বহু প্রতারণা মামলায় ব্যবহার হচ্ছিল। কিছু নম্বরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে মেসেজ, ওটিপি জালিয়াতি, ফেক KYC, এমন বহু অপরাধমূলক কার্যকলাপ এর তথ্য মিলেছে। প্রমাণ মিলেছে আন্তর্জাতিক হ্যাকিং রুটেরও।
আরও পড়ুন- জমে গেল আইপিএল! প্লে-অফ খেলবে কোন কোন দল? কেকেআর কোথায় দাঁড়িয়ে?
এদিন ডিএসপি সদরের নেতৃত্বে পতিরাম থানার পুলিশ, গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ, কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ, সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ও এসওজি যৌথ অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা তিন মূল চক্রীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১টি ল্যাপটপ, ২২ টি মোবাইল ফোন, ১০০ টির ওপর সিম কার্ড, ১টি পাসপোর্ট, ১৯টি ডেবিট কার্ড, এছাড়াও ৮টি প্যানকার্ড, আধার কার্ড, ৬ টি ব্যাংকের চেকবুক-সহ আরও একাধিক জিনিস। বিপুল পরিমাণ নথিপত্র দেখে পুলিশের অনুমান, এই চক্র শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরেও তাদের জাল বিস্তার করেছে।
সুস্মিতা গোস্বামী