মেডিকেলের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মলয় সরকারের দাবি, যদি জরায়ুতে একটি বাচ্চার মৃত্যু হয় তারপর অন্য একটি বাচ্ছার জন্ম দেওয়াটা খুবই ঝুঁকির হয়ে যায়। কারণ, এই সময়ে সংক্রমণের ব্যাপক ভয় থাকে। তারপর বাচ্চাটির পরিণত হওয়ার জন্য সময়ও লাগে। তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই অসাধ্য সাধন করেছে মেডিক্যাল।
আরও পড়ুন: পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম! ‘কাটুম-কুটুম’ শিল্পই এখন সৈকতের ভরসা
advertisement
গত ১১ জুলাই ভর্তি রোগী সফলভাবে সন্তান প্রসব করেন ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবসের দিন। সিজার করে শিশুটিকে পৃথিবীর আলো দেখান চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পম্পা পরামানিক নামের এক মহিলার বাচ্চা না আসার কারণে আইভিএফ পদ্ধতি অবলম্বন করেন । কিন্তু প্রথম আইভিএফ ফেল হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে পুনরায় আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তাঁর পেটে আসে যমজ বাচ্চা। কিন্তু, অন্তঃস্বত্তার ১৭ সপ্তাহে জুলাই মাসের ১১ তারিখ রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। গাইনি বিভাগে পরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখ একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এই গ্রামে একজনেরও বিয়ে হচ্ছেনা! কারণ জানলে চমকে যাবেন, দেখুন ভিডিও
একটি সন্তান মারা গেলেও অপর একটি সন্তান বেঁচে যায় । এরপর পরস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। পেটে দ্বিতীয় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েন চিকিৎসকরা। টানা ১২৫ দিন হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হয় ওই মহিলাকে । ১২৬ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার তিনি যমজ বাচ্চার দ্বিতীয়টির জন্ম দেন। বাচ্ছাটির ওজন ২ কেজি ৯০৬ গ্রাম। বর্তমানে মা এবং বাচ্ছা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। এই অস্ত্রোপচারের গোটা প্রক্রিয়ায়টি ১০ জন চিকিৎসকদের একটি দল করেন বলে জানান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী