গত কয়েক দিন ধরে একের পর এক মৃত্যু মেদিনীপুর মেডিক্যালে। আত্মীয়-পরিজনদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ-হাহাকারে ভারাক্রান্ত পরিবেশ। শনিবার সকালে পরিস্থিতি আরও করুণ হয়ে উঠল সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে। তিন দিনের শিশুর দেহ আন্দোলনরত ডাক্তারদের সামনে রেখে মা-ঠাকুরমার বিলাপ। প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর আর্তি।
মঙ্গলবার জন্মের পর থেকেই শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় এনআইসিইউ-তে। পরিবারের অভিযোগ, তার পর থেকে শিশুটিকে কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। মেলেনি সামান্যতম চিকিৎসাও। শনিবার সকালে এল মৃত্যুর খবর। তার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয়রা।
advertisement
ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হতে শুরু করে। রোগীর আত্মীয়রা তেড়ে যান আন্দোলনরত ডাক্তারদের দিকে। তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মৃত শিশুর আত্মীয়দের বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পরই শিশু বিভাগের ১০ জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, চাইছেন তাঁরা। সদ্যোজাত শিশুর মরদেহ নিয়ে ধরনায় বসে মা। আর মরদেহের পাশেই স্লোগান দিচ্ছেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। বাইরে তখনও দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষারত মানুষ। হাসপাতাল খোলার অপেক্ষায়। রেজিস্টার বলছে, গত ৫ দিনে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিষেবা বন্ধ থাকায় দিন দিন পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। প্রিয়জনকে হারিয়েও আত্মীয়রা চাইছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক পরিষেবা।