এই কালী মন্দিরকে মুর্শিদাবাদের বৃহত্তম চারচালা মন্দির বলে অনেকে মনে করেন। প্রায় ৪০ ফুট উঁচু এই মন্দিরে প্রবেশপথের সামনের দিকে পোড়ামাটি ও চুন-বালির দু’টি উপাদানের অলংকরণ রয়েছে। পৌরাণিক দেবদেবী, দশাবতার, লঙ্কাযুদ্ধ ও ফুলবাড়ি নকশা আছে। এখান থেকে একটু দক্ষিণে ঘাটবন্দরের আগে রয়েছে প্রাসাদোপম বাড়ি সৈদাবাদ হাউস। ভিতরে প্রবেশ করতে না পারলেও অতীত সৈদাবাদের বড় ইমারত সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গঙ্গার তাণ্ডবে গ্রামজুড়ে হাহাকার, ছাড় পায়নি শতবর্ষ প্রাচীন মন্দির! ভাঙা বেদিতেই আয়োজন কালীপুজোর
জানা গিয়েছে, বাংলা, বিহার, ওড়িশার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নায়েব কৃষ্ণেন্দু হোতা একজন সাধক ছিলেন। তিনিই এই মন্দির সহ মায়ের মুর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীরবেষ্টিত একটি অঙ্গনের মধ্যে কতগুলি মন্দির নিয়ে একটি মন্দিরক্ষেত্র হল দয়াময়ী কালীবাড়ি। কৃষ্ণেন্দ্র হোতা ১১৬৬ বঙ্গাব্দে (১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে) দয়াময়ী কালী মন্দির সহ অন্যান্য মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
অঙ্গনের উত্তর দিকের মন্দিরে দয়াময়ী কালী মূর্তি অতীব সুন্দর। দেবী জাগ্রতা বলে মান্য করেন সকলে। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরটি একটি জোড়বাংলা মন্দির যার উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। মন্দিরের থামে, খিলানে ও সামনের দেওয়ালে পোড়ামাটির অলংকরণ রয়েছে। বারবার সংস্কার হওয়ার ফলে অবশ্য এগুলির প্রাচীনত্ব নষ্ট হয়েছে। এই মন্দির চত্বরের মধ্যে পূব মুখে ছয়টি, পশ্চিম মুখে ছয়টি ও উত্তর মুখে একটি সহ মোট ১৩টি শিব মন্দির রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দয়াময়ীর পশ্চিম দিকে এক চূড়াবিশিষ্ট সুদৃশ্য কতগুলি মন্দির আছে। এইসব মন্দিরে আলাদা কক্ষে রাম-সীতা, রাধাকৃষ্ণ, অন্নপূর্ণা, অর্ধনারীশ্বর পূজিত হচ্ছেন। দয়াময়ী মন্দিরের সামনের দালান মন্দিরে গ্রহরাজ পূজিত হচ্ছেন। দয়াময়ী মন্দির ও ১৩টি শিব মন্দিরে বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। এই মন্দির থেকে কাছে বিষ্ণুপুর বিলের উপর কৃষ্ণেন্দ্র হোতা একটি পাথরের সেতু নির্মাণ করেন যেটি হোতার সাঁকো পরিচিত। কালীপুজোর দিন সকাল থেকেই সেজে উঠছে এই মন্দির। রাতে হবে বিশেষ পুজো ও হোমযজ্ঞ।