সামনেই আন্তর্জাতিক রেডিও দিবস, তার আগে রেডিও’র বিভিন্ন স্বর্ণালী দিনের স্মৃতিচারণায় বৃদ্ধ। রেডিও যেন তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। বয়স ৬৫ পেরিয়েছে, ১৯৭১-৭২ সাল থেকে তাঁর রেডিও শোনা শুরু, তৎকালীন সময়ে ফোন তো ছিলই না, টিভিরও রমরমা ছিল না বাজারে, টিভির প্রচলন হয়েছে তার বহুকাল পরে। সেই সময় থেকেই তাঁর রেডিও শোনার নেশা। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের নিয়মিত শ্রোতা ছিলেন। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতন থানার জামুয়াপাতি এলাকার বাসিন্দা অতনু নন্দন মাইতি।
advertisement
রেডিওতে চাকা ঘুরিয়ে বদলাতেন বিভিন্ন রেডিও স্টেশন, এফএম-এ ভেসে আসা বিভিন্ন অনুষ্ঠান তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পক্ষে এবং বিপক্ষে নানান চিঠিপত্র লেখা। কখনও বিবিসি, আবার কখনও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রেডিও স্টেশনে তিনি চিঠি লিখেছেন। বিবিসি রেডিও স্টেশন থেকে একসময় এক অনুষ্ঠানে তিনি ডাকও পেয়েছিলেন নির্বাচিত শ্রোতা হিসেবে।
কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে রেডিও শ্রোতাদের সংখ্যা। মোবাইল-ইন্টারনেটের যুগে, হাতের মুঠোয় ‘সবকিছু’ পেয়ে যাওয়া যুবসমাজ জানে না রেডিওর একটি অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কতটা। আজ থেকে কয়েক দশক পিছনে গেলেই দেখা যাবে রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কীভাবে মুখিয়ে থাকতেন শ্রোতারা। নিয়ম করে তাঁরা চিঠি লিখতেন, চিঠি প্রত্যুত্তরে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের কাছে আসতো ক্যালেন্ডার, চিঠির উত্তর থেকে অনুষ্ঠানের সূচিপত্র।
রঞ্জন চন্দ