ইতিহাস বলছে হান্না মার্শম্যান ভারতে আসা প্রথম মিশনারি মহিলা। ১৮০০ সাল থেকেই তিনি শ্রীরামপুরে মেয়েদের শিক্ষাপ্রসারে উদ্যোগী হন। ১৮১৮ সালে ভবনটি তাঁর হাত ধরে তৈরি হয় শ্রীরামপুর মিশন বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে। ভারত তথা এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন বালিকা বিদ্যালয় গুলির মধ্যে এটি একটি। মেয়েদের শিক্ষাপ্রসারে হান্নার ভূমিকা অনস্বীকার্য। হান্নার স্বামী ছিলেন শ্রীরামপুর কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জেশুয়া মার্শম্যান।
advertisement
আরও পড়ুনAyush Herbal Garden: সরকারি দফতরে কবিতার ছড়াছড়ি! আসল কারণ জানলে অবাক হবেন
সেই বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছিল অনেকদিন আগেই। দাবি উঠছিল শ্রীরামপুরে ডেনিসদের অন্যান্য স্থাপত্য অবিকল রেখে সংস্কার করা হোক। শ্রীরামপুর পুরসভার ডিপিআর তৈরি করে পূর্ত দফতরকে পাঠানো হবে বলে জানান শ্রীরামপুর পুরসভার পুর পারিষদ সন্তোষ সিং। সেই হেরিটেজ হান্না হাউসের অবশিষ্টাংশ ভেঙে পরে এদিন বিকালে।তখন স্কুলের মাঠে মেয়েদের নৃত্য অনুশীলন চলছিল। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য।হান্না হাউসের পাশেই রয়েছে প্রাথমিক বিভাগ।
সোমবার তিনটে নাগাদ সেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়। স্কুল চালকালীন এই দুর্ঘটনা হলে বড় বিপদ হতে পারত বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোনালী চক্রবর্তী। তিনি জানান, তখন মেয়েদের নৃত্য অনুশীলন চলছিল।হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে হান্না হাউসের একাংশ।ধুলো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।এর মধ্যেই কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ বোধ করে।একজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে নিয়ে যেতে হয়। এই বিষয়ে পুরোপ্রধান সন্তোষ সিং বলেন,হান্না হাউজ একটা হেরিটেজ বিল্ডিং তাকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। টিন দিয়ে ওই এলাকা ঘিরে দেব যাতে পড়ুয়ারদের কোন অসুবিধা না হয়।
রাহী হালদার