দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম এলাকার বৃদ্ধ যোগেন দাসের শৈশব থেকেই শুরু হওয়া জীবন সংগ্রাম এখনও চলছে। আজ বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন, চামড়ার ভাঁজ পড়েছে। অথচ ৭০ বছর বয়স হলেও এখনও নীরবে নিভৃতে করে চলেছেন শিল কোটার কাজ। তাঁর নিপুন হাতে কখনও মাছ, কখনও বা ফুল এমনই সব কারুকার্য ধরেন শিলনোড়ার মধ্যে। প্রথম জীবনে মাছ ধরা, রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও তাঁর মামার থেকেই এই কাজ শেখেন তিনি। সকাল হলেই সংসারের কাজ সামলে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে চলেন ‘শিলনোড়া ধার’ এই শব্দে। কারণ এখন এটাই যে তাঁর একমাত্র পেশা। তাতেই গৃহস্থ বাড়ির মহিলারা বেরিয়ে আসেন তাদের শিলনোড়া নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাগানে কীভাবে এল যুবকের দেহ, মহিলার অন্তর্বাসের সূত্র ধরে রহস্যের কিনারা করল পুলিশ!
একসময় প্রতিটি বাড়িতে শিলনোড়া ছিল, যা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। শিলনোড়া বর্তমানে রান্নাঘরে তাদের আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান আর ধরে রাখতে পারছে না। মিক্সার গ্রাইন্ডারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় শিলনোড়ার ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তবুও হাল ছাড়েননি বৃদ্ধ যোগেন বাবু। জানা গেছে, পূর্বে শিল নোড়া কুটে দিনে আয় হত ৫০০-৬০০ টাকা। তবে, এখন আর সেই দিন নেই। এখন সারাদিনে আয় ১৫০-২০০ টাকা। তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার অতিবাহিত করতে হয় তাঁর। তাই সকাল থেকেই শিলনোড়া কুটতে চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়।
সুস্মিতা গোস্বামী