মেলা জমে ওঠে দুই কালীর ভাসানের পর। বুড়ো কালী এলাকার রানা পরিবার থেকে এসেছে আর জোয়ান কালীর আগমন নিয়ে মতান্তর রয়েছে। তবে জোতকেশব আজুড়িয়া ও পলাশপাই এলাকার কর্মকার গোষ্ঠীর মানুষেরা এই পুজোর মুখ্য ভূমিকায়। এই দুই কালী পুজোকে ঘিরে আছে নানান কথা। আছে দুই কালীর নানান মাহাত্ম্য। বুড়োকালীর পুজোয় কোনও চাঁদা লাগে না। ভক্তদের দানেই পুজো হয়ে যায়।
advertisement
আবার জোয়ান কালীরপুজোয় ওই কর্মকার পরিবারের পুরুষ সদস্য যারা আয় করছেন তাঁদের মাথা পিছু ৫০০ গ্রাম চাল সঙ্গে ৫০ টাকা দিতে হয়। এটাকে বলা হয় বৃত্তি। আবার এই কর্মকার পরিবারে কোন নবদম্পতির প্রথমে পুত্র সন্তান হলে তাদেরকে একটা আলাদা অর্থ দিতে হয় এই পুজোয়, যার নাম কুমার সেলামি। এই কালী মায়ের পুজোয় যে বাতাসা পড়ে সেগুলি আবার পরে এলাকায় বিলি করা হয়। এই পুজোয় লাগে পাঁচ ধরনের বাজনা। বাজনার মধ্যে নহবত রাখতেই হয়। এছাড়া ঢাক ঢোল লাগাচি এগুলো তো থাকেই।
স্থানীয় ধীমান বাবুরা তাঁরা তিন পুরুষ ধরে এই বুড়োকালীর প্রতিমা বানাচ্ছেন। জন্মাষ্টমী গেলে তবেই এই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করা যায়। তার আগে নয়, এটাই রীতি। দুই কালীর পুজো চলে চার দিন ধরে। আছে বলি প্রথা। এই বুড়ো কালী জোয়ান কালীর ভাসানে আছে নানান চমক। ভাসানের রাতে প্রথমে বুড়ো কালীকে নিয়ে যাওয়া হয় জোয়ান কালীর কাছে। হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে সে দেখার মত দৃশ্য। সেখানে জোয়ান কালীর তরফে বুড়ো কালীকে বরণ করে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। মুখোমুখি বুড়ো কালী, জোয়ান কালী। গায়ের লোম খাড়া হবে সে দৃশ্য দেখে। এবার আসে ভাসানের পালা। এই কালীর পুকুরেই যে যার ঘাটে আলাদাভাবেই দুই কালীকে নামানো হয়। প্রথমে বুড়ো কালীর ভাসান হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বুড়ো কালীকে জলের মধ্যে নামিয়ে জলের মধ্যেই তিন বার ঘোরানো হয়। তারপর মায়ের ভাসান। একইভাবে জোয়ান কালীর ভাসান হয় তারপর। এলাকা ও এলাকার বাইরের নানান কালী পুজোয় তো গিয়েছেন। এবার দাসপুরের এই বুড়ো কালী, জোয়ান কালীর পুজোয় আসুন। এখানকার পুজো আপনাকে মুগ্ধ করবেই।