শান্তিপুরের স্থায়ী বাসিন্দা না হলেও চাকরি-সুত্রে হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেও আবাসিকরা রক্ষা করে যাচ্ছেন রাসের ধারাবাহিকতা। ৫১ তম বর্ষে বিষয় ভাবনা পুরাতন এবং ভৌতিক পরিবেশ।
আরও পড়ুন: বেলজিয়াম কাঁচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়েই চলে আরাধনা! জানুন
অনেকে শান্তিপুরের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও শান্তিপুরের ঐতিহ্যপূর্ণ রাসে অংশগ্রহণ করে থাকেন। কারণ তাঁরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর। তাও আবার হাসপাতালের মতন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত হয়েও। অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে শান্তিপুরকে মনে প্রাণে ভালোবেসে বিগত ৫০ বছর আগে ওই আবাসনে থাকা চিকিৎসক নার্স এবং বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীরা এই পুজোর সূচনা করেন।
advertisement
যদিও চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী তারা কোথাও স্থানান্তরিত অথবা অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন কিন্তু ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে আজও। ১৫ আগস্টে পতাকা তোলা, রক্তদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা, কালীপুজো-সহ নানান অনুষ্ঠান করে থাকেন তারা। তবে রাস উপলক্ষে বাড়তি উন্মাদনা থাকে তাঁদের। এবার ৫১ তম বর্ষে তাঁদের বিষয় ভাবনা ছিল ‘পুরাতন বাড়ি’।
জরাজীর্ণ পুরনো দিনের একটি দোতলা বাড়ির মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন মা তারা ডেকোরেটার্স। অসাধারণ রাধা কৃষ্ণের প্রতিমা নির্মাণ করেছেন সুরজিৎ পাল।মূল মণ্ডপের সামনে শোভা বর্ধন করছে পরিত্যক্ত চারচাকা গাড়ি মোটরসাইকেল কামান-সহ নানান পুরনো জিনিস।
আর সেখানেই তিনজন জীবন্ত মডেল ভৌতিক অভিনয় করে মন মাতাচ্ছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের। যা দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের কাছে রাসের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। থিমের প্যান্ডেলের সঙ্গে থিমের রাধা কৃষ্ণ। তবে বিগত ১৫ বছর ধরে তাঁদের মূলত পুজো করেন সত্যনারায়ণের।
Mainak Debnath