বছর দশেক আগে বাবার তৈরি মাটির ঘরই ছিল একমাত্র আশ্রয়। কিন্তু সেটি বহু আগেই ভেঙে গেছে। তারপর থেকেই খড়ের ছিটে বেড়ার চালায়, দু’চালার নীচে দিন কাটছে তাঁদের। ত্রিপল চাপানোর সামর্থ্যটুকুও নেই। বহু কষ্টে হচ্ছিল দিনযাপন। তবে এবার প্রশাসনের তরফে মিলল আশ্বাস। জেলা পরিষদ সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার আশ্বাস দেন “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই জেলা পরিষদের ফান্ড থেকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে। তবে জেলা পরিষদে লিখিত আবেদন করতে হবে।” এই আশ্বাস শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দম্পতি।
advertisement
আরও পড়ুন : গঙ্গা, পুকুর দূষণ রোধে ফিল্টার চেম্বার সহ আরও কতকী…! নজির গড়ে বড় স্বীকৃতি পাচ্ছে বর্ধমানের এই পঞ্চায়েত
বহু বছর পর, মাথার উপর পাকা ছাদ পাওয়ার সম্ভাবনায় চোখে জল আসে তাঁদের। রূপা বলেন, “এতদিনে কেউ কথা শুনল, এ যেন স্বপ্ন।” লখাইয়ের ঘরের পিছনে বয়ে যাওয়া কাঁদর নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে বর্ষায়। উঠানে জল, চালায় চুঁইয়ে পড়ে জলের ধারা। কয়েকদিন স্থানীয় গোপালপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ছিলেন তাঁরা, কিন্তু স্কুল চালু থাকায় থাকতে হয়েছে অপরের আশ্রয়ে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
স্থানীয় এক সমাজকর্মী ত্রিপল দিয়ে কিছুটা স্বস্তি পৌঁছে দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন , লখাইকে জেলা পরিষদে নিয়ে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও তিনি করবেন। এই খবর শুধু একটি ঘরের দাবি নয়, এটি গরিব মানুষের হয়ে একটা লড়াই! প্রশাসনের মানবিক সাড়া যেন লখাইদের মত আরও অনেক ‘অদৃশ্য’ মানুষকে আলো দেখায়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী