সাঁওতালি ভাষার হরফ হল অলচিকি। সেই অলচিকির শতবর্ষ এবছরই। ভারতের সংবিধান স্বীকৃত ভাষা সাঁওতালি। হুগলি জেলায় বহু মানুষের মাতৃভাষা সাঁওতালি। সেই আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিজন বেসরা। ধনিয়াখালি থেকে জিতে জেলা পরিষদের সদস্য হন বিজন। তার ঘরের সামনে নেম প্লেটে বাংলা হরফে যেমন লেখা আছে, তেমনই অলচিকি হরফে লেখা হয়েছে নাম পদ।
advertisement
আরও পড়ুন: বইয়ের ছাপাখানায় আসলে কী কাণ্ড চলত? বড় পর্দা ফাঁস পুলিশের, গ্রেফতার ৫! ঘটনা জানলে চমকে যাবেন
এই বিষয়ে বিজন বলেন, “এবছরই অলচিকি হরফের শতবর্ষ পূরণ হচ্ছে। আমি আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি। তাই আমার নেম প্লেটে অলচিকি লিখে এর সূচনা করলাম। আমি চাই যেসব জায়গায় আদিবাসী মানুষের সংখ্যা বেশি। সেখানে স্কুল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও অলচিকিতে যাতে লেখা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গায় দরবার করব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হুগলি জেলা পরিষদে সভাধিপতি রঞ্জন ধারা বলেন, “বিজন বেসরা অনুরোধ করেছিলেন তাই তার নেমপ্লেটে অলচিকি লিপিতে লেখা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাঁওতালি ভাষাকে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অনেক স্কুল কলেজে অলচিকি পড়ানো হয়। হুগলি জেলা পরিষদ সেই ভাষাকে সম্মান জানানোর জন্য এই কাজ করেছে।”
সাঁওতালি ভাষার গবেষক শুভজিৎ মূর্মু বলেন, “পন্ডিত রঘুনাথ মূর্মু সাঁওতালি ভাষার লিপি আবিষ্কার করেছিলেন। এটি একটি অস্টিক ভাষা। ভারতে যত আদিবাসী আছে তার মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা হল সাঁওতালি। এবছর যেহেতু শতবর্ষ সেই কারণে মিশন অলচিকির মাধ্যমে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় প্রচার যেমন চলছে তেমনই বিভিন্ন সরকারি দফতরে দাবী পেশ করা হচ্ছে যাতে অলচিকিতে লেখা হয়।”
রাহী হালদার