ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, বুধবার ইন্ডিয়ান অয়েল-এর পক্ষ থেকে যে টেন্ডার ডাকা হয় তাতে ট্রান্সপোর্ট রেট অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়ার মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে ট্যাঙ্কার মালিকরা পেট্রোল এবং ডিজেলের গাড়িতে তেল তোলেননি এর জেরে। ফলে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদিয়ার একাংশে তেল সরবরাহ করা যায়নি।
advertisement
এদিকে পেট্রোল এবং ডিজেল ট্যাঙ্কারে না তোলার কারণে পেট্রোল পাম্প গুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ আছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সন্ধ্যের পর থেকে কলকাতা এবং হাওড়ার পাম্পগুলি ড্রাই হতে শুরু করবে। বন্যা এবং করোনা আবহে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানান হয় প্রায় ষাটটি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ভাড়াও কমিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন তারা। তাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে। যদিও তারা আশাবাদী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করবে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা ও জেলার সব পেট্রল পাম্পগুলিতে এদিন থেকেই জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধর্মঘট না উঠলে খুব শীঘ্রই কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই জ্বালানীর তীব্র অভাব দেখা দিতে চলেছে বলে আশঙ্কা। সব থেকে বড় সঙ্কটের মধ্যে পড়তে চলেছে জেলার গণপরিবহণ ব্যবস্থা। বাস-ট্যাক্সি-পুলকার হোক কিংবা বাইক-স্কুটি, বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছে। পেট্রোল ও ডিজেলের অভাবে এদের চাকা কার্যত থমকে যেতে বসেছে। মনে করা হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকেই জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেল আর পাওয়া নাও যেতে পারে। যত সময় গড়াবে আস্তে আস্তে অন্যান্য জেলাতেও তা ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: সুকান্ত মুখোপাধ্যায়।