পুরুলিয়ার বলরামপুর বাজারে রয়েছে হোমিওপ্যাথি ড.পরিমল পাল তথা মন্টু পালের চেম্বার। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ও বিকেল চারটে থেকে রাত নটা পর্যন্ত পর্যন্ত খোলা থাকে তাঁর চেম্বার। প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করেন তাঁর চেম্বারে। অনেকেই সদ্যোজাত শিশুদের নিয়ে যান তার কাছে।
কোনওরকম ডাক্তার ভিজিট ছাড়া তিনি রোগী দেখেন শুধু নামমাত্র ওষুধের দামটুকু নিয়ে থাকেন তিনি। বলরামপুরের বহু দরিদ্র অসহায় মানুষের ভরসা তিনি। এ বিষয়ে ডঃ পরিমল পাল বলেন, ৪৬টা বছর থেকে তিনি এই ভাবেই রোগী পরিষেবা দিচ্ছেন। তাঁর বাবাও বিনামূল্যে রোগী দেখতেন। ১০৫ বছর যাবত এই চেম্বার রয়েছে বলরামপুরে। তিনি তাঁর বাবাকে কথা দিয়েছিলেন কখনও কোনও রোগীর কাছ থেকে ভিজিট নেবেন না আজও সেই কথা পালন করে চলেছেন তিনি। সমাজের বুকে তাঁর নাম যাতে থেকে যায় সেই কারণেই এই কাজ করে চলেছেন তিনি।
advertisement
এ বিষয়ে ওই চেম্বারে আসা রোগীরা বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন যাবত এই চেম্বারে আসছেন। ডক্টর পরিমল পালের চিকিৎসা খুবই ভাল। এমনকি বাড়ির ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে ওঁকে দেখাতে আসেন সবাই। দ্রুত রোগ নিরাময় হয় ওঁর ওষুধে। রোগীদের কাছ থেকে কোনওরকম পয়সা নেন না বলে অনেকটাই উপকার হয় তাদের।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে বিনামূল্যে কিছুই পাওয়া যায় না সেখানে দাঁড়িয়ে ৪৬ বছর ধরে বিনামূল্যে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন বলরামপুরের হোমিওপ্যাথি ডাক্তার পরিমল পাল। বাবার দেখানো পথ ধরে তিনি এগিয়ে চলেছেন। একইভাবে নিজের ছেলে শান্তনু পাল কেও সেই দিকেই এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করছেন তিনি। তার এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত গোটা পুরুলিয়া জেলা।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়