আরও পড়ুন: এবার কলেজেও অলচিকিতে পড়াশোনা
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে মুকুটমনিপুরের কংসাবতী জলাধারে পরিযায়ী পাখির সুমারী হল। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে ক্রমশ পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে এখানে। তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ তথ্য।
প্রতি বছর শীতের এই দিনগুলিতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি মুকুটমনিপুরে আসে। স্বাভাবিক নিয়মে শীত শেষে তারা ফিরেও যায়। আর এখানে ঐ সব পাখি অবস্থানকালে বেশ কয়েক বছর ধরে গণণার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন সকালে মুকুটমনিপুর জলাধারের উপর নৌকোয় চেপে ওই গণনার কাজ করা হয়। এদিনের গণণায় প্রায় ১২ রকম প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিন প্ল্যাটু’র তরফে জানানো হয়।
advertisement
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটনকেন্দ্র মুকুটমনিপুরকে ঘিরে বার্ড ওয়াচিং ইকো ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তুলতে পক্ষী গণনার কাজ করছে বন দফতর। এদিনের গণনায় সরাল, রাঙামুড়ি, বালি হাঁস সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা গিয়েছে। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার এডিএফও অসিতকুমার দাস, খাতড়ার রেঞ্জার সীতারাম দাস সহ বন দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা। পক্ষী গণনার ওই সংস্থার দাবি, বিগত বছরের তুলনায় এবছর মুকুটমনিপুরে আসা পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
যে সমস্ত পরিযায়ী পাখির সন্ধান মিলছে না তারা কেন আসছে না সেটাও ওই রিপোর্টে কিছুটা তুলে ধরা হয়েছে। সম্ভবত দূষণ বাড়ায় মুকুটমনিপুর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা। এই বিষয়ে আগামী দিনে পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





