এসএসসি হোক বা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি, অপরাধের ধরন একই রকম। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি। আর এই অভিযোগে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নিয়োগকর্তা-সহ একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার হাতে।
তদন্তে উঠে এসেছে সুপারিশকারী থেকে এজেন্ট, সাব-এজেন্টের নাম। ধরাও পড়েছেন অনেকে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে আরও এক বিধায়ককে। বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ দাসকে। আর এই গ্রেফতারের পরেই সিবিআই নজরে জীবনের জেলারই দুই বিধায়ক।
advertisement
সিবিআই সূত্রের দাবি, ওই দুই বিধায়ক একাধিক চাকরিপ্রার্থীর হয়ে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছেন। শুধু তাই নয়, চাকরি বিক্রি করার ষড়যন্ত্রেও তাঁরা শামিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ। শুক্রবার দুপুর থেকে জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়িতে শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান।
মাস খানেক আগে নিয়োগ মামলায় ধৃত মুর্শিদাবাদ জেলার এজেন্ট কৌশিক ঘোষের ফোন কল ও মেসেজের সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণ সাহার যোগ উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। আর বড়ঞাঁর বিধায়কের বাড়ি থেকে তল্লাশির সময় উদ্ধার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকার সূত্র ধরেই মিলল আরও দুই বিধায়কের যোগ, দাবি সিবিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জীবনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকার মধ্যেই সুপারিশপত্রের হদিস মিলেছে। অর্থাৎ, ওই দুই বিধায়কের পাঠানো তালিকা উদ্ধার হয়েছে। কেন জীবনকে তালিকা পাঠিয়েছিলেন ওই দুই বিধায়ক? সিবিআই সূত্রের দাবি, জীবন পাঁচ জেলা থেকে তালিকা সংগ্রহ করে ডিল ফাইনাল করে তালিকা পাঠিয়ে দিতেন কলকাতায়।
এখানেই শেষ নয়! আলাদা আলাদা পদে নিয়োগের জন্য জীবনের ঠিক করা ছিল আলাদা আলাদা দরও। যার নথি ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তবে, এই দুই বিধায়ক যে নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে কী ভাবে বিধায়কের যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল, সেটাই এখন জানতে চায় সিবিআই। দুজনের হয়েও কি এজেন্ট কাজ করতেন জীবন? তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা।