মানুষের চাহিদা না থাকায় বাঁশের তৈরি নানা জিনিস এখন প্রস্তুত করেনা গ্রামীণ এলাকার শিল্পীরা। দৈনন্দিন হাটে কিংবা বাজারে সামান্য বিক্রির আশায় বাড়ির মহিলারা অন্যান্য কাজের অবসরে তৈরি করছেন কুলো। যার থেকে সামান্য আয় রোজগারের আশা দেখছেন তারা। বাঁশ দিয়ে কুলো নয়, তৈরি করছেন ছোট, বড় একাধিক আকৃতির ঝুড়ি।
আরও পড়ুন: সিমেন্টের দক্ষতায় মিশে গেল তুলির টান, অনন্তের মূর্তি এখন পাড়ি দিচ্ছে নেপালেও
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় মানুষের আয় রোজগারের উৎস ছিল বাঁশের তৈরি নানান জিনিস প্রস্তুতি। কিন্তু কালের নিয়মে সেই সকল জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন আর সেই পেশায় নেই বহু পরিবার। তবে, বেশ কিছু পরিবার এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের পূর্বপুরুষদের পেশা। অন্যান্য কাজের অবসরে বাড়ির মহিলারা তৈরি করছেন ছোট্ট ঝুড়ি এবং কুলো। বাঁশকে কেটে বিভিন্নভাবে তারা এই কুলো, বড় ঝুড়ি বানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হয়েছে উন্নয়ন, তবুও দুর্ভোগের মধ্যে বলরামপুরের এই গ্রামের বাসিন্দারা , জানেন কেন!
প্রসঙ্গত, বাঁশের তৈরি এই কুলো ঝুড়ির চাহিদা বেশ ছিল এককালে। বাড়িতে চাষের কাজের পাশাপাশি, ধান ঝাড়া-সহ একাধিক কাজে ব্যবহার হত কুলো। অন্যদিকে পান এর রফতানি সহ একাধিক কাজে ঝুড়ির ব্যবহার হয়। তবে বর্তমান দিনে প্লাস্টিক-সহ অন্যান্য জিনিসের প্রভাব বাড়ায় চাহিদা কমেছে এই সকল জিনিসের। তবে এখনও সামান্য আয় রোজগারের আশায় বাড়ির পুরুষ ও মহিলারা তৈরি করছেন কুলো, ঝুড়ি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম বেলিয়া ভুঁইয়াহাতা। এই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার এখনও বাঁশ দিয়ে কুলো, ঝুড়ি প্রস্তুত করেন। একটা বাঁশ কিনে তার থেকে ৪-৫ টা কুলো, সামান্য কয়েকটি ঝুড়িও প্রস্তুত করেন তারা। তবে বর্তমান দিনের সেই জিনিসের চাহিদা কম। তবুও বাড়ির সাংসারিক কাজের অবসরে এই জিনিস বানিয়ে আশার আলো দেখছেন তারা। পূর্ব পুরুষদের পেশা কোনওভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে কয়েকটি পরিবার।