‘ভারতমালা’ প্রকল্পে দক্ষিণবঙ্গের খড়্গপুর থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পর্যন্ত ফোর লেনের ইকোনমিক করিডোর তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর।
আরও পড়ুন: মুখে ঘা হওয়ায় কিছু খেতে কষ্ট হচ্ছে? এই ঘরোয়া উপায়ে একদম সেরে যাবে, জানুন
এটি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থেকে হুগলি, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম হয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছবে। এই ১১৬-এ (NH 116A) জাতীয় সড়কটি জাতীয় সড়ক নং ৬০, জাতীয় সড়ক নং ৩৪ এবং সবশেষে জাতীয় সড়ক নং ১২-র সঙ্গে মিশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাবে। এর ফলে, খড়্গপুর এবং মোরগ্রামের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব কমবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাতের পাতে রোজ লেবু চিপে খান? শরীরে এর প্রভাব জানলে চমকে যাবেন!
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থেকে যথাক্রমে ৬০ নং কিংবা ৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি গেলে প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হত। সময় লাগত ১৪-১৫ ঘণ্টা। কিন্তু নতুন ১১৬-এ জাতীয় সড়কের ফলে দূরত্ব কমবে প্রায় ১০০ কিমি বা তার থেকেও বেশি। ফলে সময়ও বাঁচবে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানায়, এই জাতীয় সড়কের জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে।
খরচ হবে প্রায় ১০,২৪৭ কোটি টাকা। জাতীয় সড়কটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু করে হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদে গিয়ে জুড়বে। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিপিআর তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, খড়গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত ৬০ নং জাতীয় সড়ক বরাবর মোট দুরত্ব ৩০৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে, জাতীয় সড়ক ৬ এবং জাতীয় সড়ক ৩৪ হয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছতে গেলে দুরত্ব ৩৪৮ কিলোমিটার। যেখানে অনেক ট্রাফিকের সমস্যা থাকে। তবে এই পথের উন্নয়ন ও ভিড় সরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনো কষ্টসাধ্য। তাই ইকোনমিক করিডোর তৈরি হলে দক্ষিণ থেকে উত্তরের দূরত্ব কমে হবে মাত্র ২৩১ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য যে, নতুন এই জাতীয় সড়কটির ৫৬.৫ কিলোমিটার অংশ থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। যা জেলার ৫টি ব্লকের ১১৫-টি মৌজা ছুঁয়ে যাওয়ার কথা। ওই ব্লকগুলি হল যথাক্রমে—খড়্গপুর-২, মেদিনীপুর (সদর), কেশপুর, চন্দ্রকোনা-১ এবং ২। এর মধ্যে খড়্গপুর-২ ব্লকে রয়েছে ৮টি মৌজা, মেদিনীপুরে (সদর) ১৩টি, কেশপুরে ৫৮টি, চন্দ্রকোনা ১-এ ১৯টি এবং চন্দ্রকোনা ২-এ ১৭টি মৌজা রয়েছে। ওই সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে অধিগ্রহণ করতে হতে পারে ৯৩০ থেকে ৯৫০ একর জমি। এর মধ্যে ৮০০ থেকে ৮৫০ একর জমি রায়তি এবং বাকিটা খাস বলে জানা গিয়েছে।
রঞ্জন চন্দ