ঘরের ভিতরে জমে থাকা জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল মাত্র ছয় মাসের এক কন্যা শিশুর। এলাকাজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই শিশুটিকে ঘরের খাটে শুইয়ে রেখে, মা বাড়ির কাজ করছিলেন। এদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে ঘরবারি-সহ আশপাশের সমস্ত জায়গা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। শিশুটিকে খাটের উপর ঘুম পাড়িয়ে শৌচকর্মের জন্য কয়েক মিনিট খাটের পাশ থেকে উঠে গিয়েছিলেন মা। আর ঠিক তখনই ঘটল অঘটন। শিশুটি খাট থেকে মেঝেতে পড়ে যায়। এদিকে ঘর জল থইথই করছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফ্লাড সেন্টারই ভরসা, সেখানেই চলছে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি!
তিনি দ্রুত ফিরে এসে জল থেকে শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা একরত্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছয় মাস বয়সী ওই শিশু কন্যার নাম ঋষিকা ঘোড়ই। তার বাবার নাম পাপন ঘোড়ই। পেশায় তিনি সিভিক ভলেন্টিয়ার। মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এলাকায় হু-হু করে বাড়ছে চর্মরোগ, বাইরে যেতেও ভয়! কী হল পানিহাটিতে?
এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত দাস। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই বিপর্যস্ত এই এলাকা। ঘটনার পরে ক্ষোভও দানা বাঁধছে বাসিন্দাদের মধ্যে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জলনিকাশি সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। প্রশাসনের দিক থেকেও দেখা যায়নি তৎপরতা। ঘটনায় শোকাহত গোটা দেবীনগর অঞ্চল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিন একই ভাবে জমা জলে ডুবে মারা যায় আরও এক শিশু। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে, বাগদা থানা টাকশিলা এলাকায়। বাড়ির পিছনে জলাশয়ে বৃষ্টির জমা জলে পড়ে মারা যায় দু’বছরের একটি শিশু। পরিবারের লোকেরা জানান, ঘরে রান্না করছিলেন মা। সেই ফাঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির পাশে জলাশয়ে চলে যায় শিশুটি। এরপর দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাড়ির পেছনের জলাশয় থেকেই উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। এরপর বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলার দুই প্রান্তে দুটি শিশুটির এভাবে অকালমৃত্যু যেন আরও একবার নগর জীবনের দুর্বল পরিকাঠামোর ছবিই তুলে ধরল।
Rudra Narayan Roy