স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে উত্তর ২৪ পরগনার এই সেতুর মেরামতির কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। সেতুর বহু বাঁশের পাটাতন পচে গেছে, কোথাও কোথাও পেরেক খুলে গিয়েছে। শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় একরকম ভয়ে ভয়ে হেঁটে পার হচ্ছে। অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় পরিবারকে। বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। নিচে নদীর ঢেউ, উপর থেকে সেতুর দুলুনি—সঙ্গে প্রতিটি পায়ে পায়ে মৃত্যুভয়। বাজার করতে যাওয়া থেকে শুরু করে রোজকার কাজে বের হওয়া—সব ক্ষেত্রেই এই সেতু একমাত্র ভরসা। ফলে বন্যার সময় জলের স্রোত বাড়লে সেতুর বাঁশের স্তম্ভ আরও দুর্বল হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ইলিশ, পমফ্রেট…! স্বাদে লাজবাব ‘ওরাও’, খালি হচ্ছে নদী ভাণ্ডার, যেসব মাছের দেখা মিলছে না সুন্দরবনে
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “প্রতিদিন প্রাণ হাতে নিয়ে পার হতে হচ্ছে। কখন যে সেতুর বাঁশ ভেঙে যাবে, বলা মুশকিল। কিন্তু যাতায়াতের জন্য কোন বিকল্প নেই।” স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও বারবার আবেদন করা হলেও মেলেনি স্থায়ী পাকা সেতুর প্রতিশ্রুতি। সেতুর কিছু অংশে অস্থায়ীভাবে বাঁশ বেঁধে রেখেছে। কিন্তু তাতে খুব বেশি সুবিধা হচ্ছে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের একটাই আর্জি, “ইছামতির উপর পাকা সেতু তৈরি হলে তবেই মিলবে স্বস্তি। না হলে প্রতিদিন আতঙ্কে চলতে হবে।” প্রশাসন কবে এই সমস্যা সমাধান করবে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন স্বরূপনগরের মানুষ।
জুফিকার মোল্যা