মৃতদের তালিকায় রয়েছে মিনু মণ্ডল, মাখন সর্দার, পূজালী সরদার-সহ একাধিক নাম। কেউ মারা গিয়েছেন দু’বছর আগে, কেউ পাঁচ বছর আগে আবার কেউ বা এক দশক আগেই পাড়ি দিয়েছেন না-ফেরার দেশে। তবু আজও তাঁদের নাম ভোটার তালিকায়। পরিবারের দাবি, তারা জানতেই পারেননি যে তালিকা থেকে মৃতদের নামগুলি মুছে দেওয়া হয়েছে কি না। অনেকেই ভেবেছিলেন, মৃত্যু নিবন্ধনের পর প্রশাসনের তরফ থেকেই নাম বাদ যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন—এটা যে আলাদা একটি প্রক্রিয়া, সেটা হয়তো তাদের জানা ছিল না।
advertisement
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, ‘‘এদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে রাখা হয়েছে যাতে ভোটের সময় স্বর্গ থেকে তাঁরা নেমে এসে ভোট দিতে পারেন!’’ তাঁদের অভিযোগ, মৃতদের নাম ব্যবহার করে কিছু অসাধু চক্র ভুয়ো ভোট দিয়ে ফলাফল প্রভাবিত করতে পারে। এই প্রসঙ্গে আমলানি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নাসির উদ্দিন গাজী বলেন, ” এরকম ঘটনার কথা আমার জানা ছিল না। আজ প্রথম শুনছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জুলফিকার মোল্যা