এই সাঁকোটি ন’টি গ্রামের একমাত্র সংযোগ পথ। প্রতিদিন প্রাণ হাতে করে ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ইছামতীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সাঁকোটি প্রায় ডুবে গিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এই সাঁকোটির রক্ষণাবেক্ষণ নিজেরাই চাঁদা তুলে কোনোমতে করে আসছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ কাফ সিরাপের নেশায় বুঁদ! ‘নিষিদ্ধ মাদক’ বাংলাদেশে পাচার করতে গিয়ে জঙ্গলে… শেষে যা হল
advertisement
২০১৮ সালে এলাকার মানুষজন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে পাকা সেতুর দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রী সেতু নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমোদনও দেন। তারপর সাত বছর কেটে গিয়েছে। এখনও সেই সেতু বাস্তবায়িত হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিজ নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হলেও তারপরে আর কাজ এগোয়নি। সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নদীর জল বৃদ্ধি ও পাঁক সৃষ্টি হওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, উপনির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর খোঁজ নেননি। ফলে সীমান্তবর্তী এই বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও দুর্ভোগকে সঙ্গে নিয়েই এই বাঁশের সাঁকো পার করে জীবনযাপন করছেন। তবে, কবে এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সীমান্ত এলাকার মানুষজন।