অশোকনগর জুড়ে প্রায় দেড়শো অধিক পলাশ ফুল গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান নারায়ণ গোস্বামী। বিধান চন্দ্র রায়ের পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা অশোকনগরে বুদ্ধিজীবী থেকে শিক্ষিত মানুষজনের বাস সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, বহু সময় দোল উৎসবে শান্তিনিকেতন থেকে শুরু করে পলাশ দেখতে ও ছবি তুলতে অনেকেই বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় যান।
advertisement
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অশোকনগর জুড়ে এই পলাশ গাছ ও তার ফুল নজর কাড়বে বহু মানুষের বলেও আশাবাদী বিধায়ক। পাশাপাশি, ঋতুচক্রের পরিবর্তনে ছ’টি ঋতুর পরিবর্তে বর্তমানে পরিবেশের খামখেয়ালিপণায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই গরম ও বাকিটা বর্ষাকালে পরিণত হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পরিবেশের ভারসাম্য অনেক আছে নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে সকলকে জল কিনে খেতে হয়, একসময় এমন পরিস্থিতি আসতে পারে যেখানে অক্সিজেন ও হয়তো কিনতে হতে পারে। নির্বিচারে বৃক্ষ ছেদন-সহ প্রকৃতির ভারসাম্য এভাবেই নষ্ট হচ্ছে। সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে বিধায়ক-সহ অশোকনগর পৌর অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি এমনকি নাগরিকদেরও এই পলাশ গাছ সংরক্ষণ-সহ পরিচর্যার আবেদন জানানো হল।
ফলে আগামী দিনে অশোকনগরের সৌন্দর্যায়নে এক বাড়তি পরিকল্পনা যুক্ত হল বলেও মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী জানান, বসন্তকালে যাতে বাইরে থেকে মানুষ শুধু পলাশ গাছ দেখতেই অশোকনগরে আসে সেই লক্ষ্যে অশোক নগরের মূল পৌর অঞ্চল জুড়ে এই পলাশ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পৌরসভার-সহ জনপ্রতিনিধিদের এই গাছগুলি পরিচর্যার মধ্য দিয়ে বড় করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিধায়কের এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয় তবে বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই বসন্তে অন্যরকম রূপ পাবে অশোকনগর।
Rudra Narayan Roy