চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা হাসিনা বিবিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাড়োয়া থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ধুলাগড়, যেমন নাম, তেমন…! ধুলাগড় মানে এখন শুধুই ধুলোয় স্নান! হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সবাই
advertisement
প্রাথমিকভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে। গৃহবধূর অকাল মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকস্তব্ধ গ্রামজুড়েও নেমে এসেছে নীরবতা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় অনেক পরিবার এখনও কাঠের উনুন বা কেরোসিনের চুলার ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। হাসিনা বিবির মৃত্যুতে নিরাপদ রান্নার ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের তরফে এই ধরনের দুর্ঘটনা রুখতে সচেতনতা বাড়ানো এবং গৃহস্থালির নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিও উঠেছে।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “আমাদের এলাকায় এখনও বহু গৃহবধূ উনুনে রান্না করেন। এর ফলে এমন ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা প্রয়োজন।”