এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিলেন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া এক নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ ডাঃ মিটন বিশ্বাস। এদিন স্ত্রী রিয়া বিশ্বাস বৈরাগী প্রসব যন্ত্রণা উঠলে তাকে কোনও বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, মছলন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। সেখানেই স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম নেয় তাঁদের পুত্রসন্তান। বর্তমানে মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের ভ্রুকুটির মাঝেই নদীবাঁধে ৭০ ফুট ধস! আতঙ্কে সুন্দরবন, ছবিতে দেখুন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি
ডাঃ মিল্টন বিশ্বাস বলেন, “মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সরকারি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসব হলে ঝুঁকি বেশি। ফলে অধিকাংশই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করেন। এই ভুল ধারণা ভাঙতেই এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” স্থানীয়দের একাংশের মতে, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসএনসিইউ সহ একাধিক পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। তাই তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। তবে চিকিৎসকরা জানান, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নরমাল প্রসবের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কাঠামো যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সমুদ্র সেনগুপ্ত জানান, চিকিৎসক মিটন বিশ্বাসের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাঁর এই পদক্ষেপ সমাজে আস্থা বাড়াবে। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর ভরসা না রেখে যখন অধিকাংশ মানুষ বেসরকারি নার্সিংহোমে ছোটেন, তখন সরকারি চিকিৎসক হিসেবে সমাজকে যেন বড় ভরসার বার্তা দিলেন ডক্টর মিটন বিশ্বাস।






