পরিবারের সদস্য আরিয়ান মুখোপাধ্যায় চোখে জল নিয়ে জানালেন, ” নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসতাম ওকে। আজ ঘর শুনশান হয়ে গেল। বাড়ির ছোট্ট সদস্য ফ্লোরা ছিল সবার আদরের। সকাল থেকে রাত তার দুষ্টুমি, খেলা, ভালোবাসায় কাটত মুখোপাধ্যায় পরিবারের দিন।” পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাবড়ার হিজলপুকুর এলাকার একটি বেসরকারি পশু চিকিৎসালয়ে ফ্লোরার একটি ছোট অপারেশন হয়। অপারেশনের পর পরিবারের আশা ছিল, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবর ফ্লোরা। কিন্তু তিন দিনের মধ্যেই ফ্লোরার শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। পরবর্তীতে বাড়িতেই স্যালাইন ও ওষুধ চালু থাকলেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
advertisement
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক ও ক্লিনিকের পক্ষ থেকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বরং প্রশ্ন করলে অমানবিক আচরণ করা হয় তাদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারে না একরত্তি বিড়ালছানা। মুখোপাধ্যায় পরিবার তাকে বাড়ির এক কোণে ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানায়। ফ্লোরার স্মৃতিতে আয়োজন করা হয় বিদায় অনুষ্ঠান। পরিবারের সদস্য আরিয়ান মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ” আমরা চাই আর কোনও পরিবার যেন চিকিৎসার গাফিলতিতে তাদের পোষ্যকে না হারায়। ফ্লোরা আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেল, ওর জন্য সুবিচার চাই।” এই ঘটনার পর পশুচিকিৎসালয়ের ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
Rudra Narayan Roy





