লোভের কারণে সন্তান বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ার এমন ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ফোরম্যান কলোনিতে। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেই প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত দম্পতিকে চেপে ধরেন এবং তারপরেই কোলের সন্তান ফিরে আসে। তবে ওই দম্পতি কোনওভাবেই শিকার করতে চাইছেন না যে তারা তাদের সন্তানকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে অন্যদের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকার স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, অভিযুক্ত দম্পতি নিতাই রায়ের বাড়িতে শনিবার তিনজন মহিলা আসেন। তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং তারপর বেরিয়ে যান। তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পিছু পিছু বাচ্চাটিকে নিয়ে তার মা বেরিয়ে পড়েন। এমন ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দম্পতিকে চেপে ধরলে তারা দাবি করেন, ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলেন।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী অভাবের তাড়নায় ওই দম্পতি নিজের সন্তানকে বিক্রি করার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন? প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এর আগেও ওই দম্পতি তাদের এক সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন এবং তার পরিবর্তে টোটো কিনেছিলেন। আর এবারও সেই একই পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন। যদিও তাদের হাতে ধরা পড়তেই এখন ভোল বদলাচ্ছেন।
অভিযুক্ত অরুণ রায় ও তার স্ত্রীর মোট ছয় সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে চার পুত্র সন্তান ও দুই কন্যা সন্তান। সদ্য দিন কয়েক আগে হওয়া পুত্র সন্তানকেই তারা বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও নিতাই রায় জানিয়েছেন, আগের সন্তানকে তারা কোনওরকম টাকা-পয়সা ছাড়াই অন্যের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যদিও এসব মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা এবং তারা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের এলাকায় থাকতে হলে এই ধরনের কোনও কাজকর্ম তারা সহ্য করবেন না।
