জানা গিয়েছে, ওই অঞ্চলের সুবিশাল একটি বাগানে থাকা শতাব্দী প্রাচীন বড় বড় গাছ নির্দ্বিধায় কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বাগানের দেওয়ালে ছোট বড় প্লটে জমি বিক্রির বিজ্ঞপ্তিও লাগান হয়েছে বিনা অনুমতিতে। তবে এই সুবিশাল বাগানটি জগদীশ মিত্রের বাগান হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, সকাল থেকেই জগদীশ মিত্রের বাগানে গাছ কাটার কাজ চলছিল। খবর পেয়ে ওই বাগানে হানা দেয় বাসুবদেবপুর থানার পুলিশ। অবৈধভাবে গাছ কাটার কাজে ঠিকাদার নিযুক্ত দুইজন কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১২ দিনেই পাট পচে উজ্জ্বল সোনালি আঁশ…! চাষিদের কাজ সহজ করতে এবার এসে গেল দুর্দান্ত জৈবিক দ্রবণ
এদিকে গাছ কাটার খবর পেয়েই ছুটে আসেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বন দফতরের আধিকারিকরা। নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা একটা নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে চলে যান। বন দফতরের আধিকারিকরা বলেন, অভিযোগ পেয়েই তাঁরা তদন্তের জন্য তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। নোটিশ ধরিয়ে গাছ কাটার কাজে যুক্তদের অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর চক্রবর্তী বলেন, গাছ কাটার বিষয় পঞ্চায়েতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাছাড়া পঞ্চায়েত থেকে ওরা গাছ কাটার জন্য অনুমতিও নেয়নি। প্রশাসনকে বলব খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এই গাছ কাটা বা কাঠ চুরির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন? যা আমাদের অক্সিজেনের দাতা, তাদের কী এভাবেই দিনের পর দিন হারিয়ে ফেলতে হবে এই জমি হাঙ্গরদের কারণে? গাছ প্রেমী এবং সমাজ সচিন্তকরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে হয়ে চলা এমন অন্যায়ের প্রতিবাদে আদৌ ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে কিনা! এখন সেটাই প্রশ্ন।
শুভজিৎ সরকার