উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের চাঁপাপুকুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল ছাত্র-ছাত্রীদের এক অভিনব ও সৃজনশীল উদ্যোগ। স্কুলের পড়ুয়ারা দুটি প্লাস্টিকের জলের বোতলের মুখ কেটে, সেগুলির মুখের দিকে দুটি লেন্স বসায়। এরপর বোতলের অপর দিক দুটি নিখুঁতভাবে সংযুক্ত করে পুরো কাঠামোর গায়ে কালো রং করা হয়, যাতে বাইরের আলো ঢুকে না পড়ে। এই সাধারণ কিন্তু কার্যকর কৌশলেই তৈরি হয়ে যায় একটি কার্যক্ষম মাইক্রোস্কোপ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গুড় আবার সুগার ফ্রি! এই শীতে বাজারে এসেছে সুগার ফ্রি খেজুর গুড়, খেতে পারবেন ডায়াবেটিসের রোগীরাও
সব শেষে মাইক্রোস্কোপটি কাঠের ফ্রেমে বসিয়ে আরও মজবুত ও বাস্তবসম্মত রূপ দেওয়া হয়। দেখতে অনেকটাই বাজারে পাওয়া মাইক্রোস্কোপের মতোই, যার কার্যকারিতাতেও পিছিয়ে নেই। ছাত্র-ছাত্রীরাই পেঁয়াজের খোসা থেকে সূক্ষ্ম আঁশ আলাদা করে লেন্সের সামনে রেখে অপর প্রান্ত দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে কোষের গঠন স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এত কার্যকর একটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র তৈরি করতে খরচ পড়েছে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। পরিবেশবান্ধব ভাবনা, কম খরচে বিজ্ঞান চর্চা এবং হাতেকলমে শেখার এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকদের কাছেও। ফেলে দেওয়া জিনিসকেই সম্পদে রূপান্তর করে যে বিজ্ঞান শেখা যায়, চাঁপাপুকুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই ছাত্র-ছাত্রীরা সেটাই যেন বাস্তবে প্রমাণ করে দিল।





