রবিবার আমেদাবাদে শক্তিশালী ইরানকে ২-১ গোলে হারিয়ে আগামী বছরের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দল। আগামী বছর সৌদি আরবে হবে মূল প্রতিযোগিতা। সিনিয়র দলের টানা ব্যর্থতা, দেশের ফুটবল ব্যবস্থাপনায় নানা জটিলতা, সবকিছুর মধ্যেই ভারতীয় যুব দলের এই সাফল্য যেন নতুন আশার বাতাস। রাজরূপের গোলপোস্টে অদম্য প্রতিরোধ, ধারাবাহিক সেভ, সব মিলিয়ে বাছাইপর্ব জুড়েই তিনি ছিলেন দলের ত্রাতা। তাই বাড়ি ফেরার দিন তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল অন্য রকম দৃশ্য।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তুলো-সুতোতেই আয়ের দিশা! মহিলাদের হাতে আসছে টাকা, বদলে যাচ্ছে কেতুগ্রামের শতাধিক পরিবারের ভাগ্য
মসলন্দপুর স্টেশন থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। খোলা গাড়িতে উঠতেই চারদিক থেকে ভেসে আসে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। পথজুড়ে পুষ্পবৃষ্টি, ঢাক-ঢোল, আবেগে ভেসে ওঠা গ্রামবাসীদের মুখ। উত্তর চাতরার আকাশে উড়তে থাকে ত্রিরঙ্গা পতাকা, গলিপথ ভর্তি হয় অভিনন্দন বার্তায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজরূপের বাড়িও সেজে উঠেছিল উৎসবের সাজে। পোস্টার, ব্যানার, ত্রিবর্ণের আলোয় ঝলমল করে ওঠে আঙিনা। এলাকার মানুষের চোখে গর্বের ঝিলিক, কারণ তাঁদের ছেলে ভারতীয় ফুটবলের নতুন নায়ক হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উজ্জ্বল করেছেন দেশের নাম। যুব দলের এই সাফল্য নতুন করে গোটা জেলার ফুটবলপ্রেমীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। রাজরূপ জানিয়েছেন, দেশের জন্য আরও বড় সাফল্য এনে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। গ্রামের মানুষ মনে করছেন, এই ছেলের হাত ধরেই হয়তো একদিন সিনিয়র ফুটবলেও ফিরবে ভারতের হারানো জৌলুস।





