অকাল ঝড় বৃষ্টিতে জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর কৃষকরা এমনিতেই হতাশা হয়ে পড়েন। তার উপর এবার ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি হওয়ার বেকায়দায় পড়েছে কৃষকরা। তবে ধান কাটতে আর খুব বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হবে না। এবার মেশিনের মাধ্যমেই কাটা হচ্ছে ধান পাশাপাশি ধান ঝাড়াই ও হচ্ছে মেশিনেই। এর ফলে খুশি চাষিকূল।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকার মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হিঙ্গলগঞ্জ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সীমান্ত থেকে সুন্দরবন এলাকার কৃষকরা শ্রমিক নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেকেই ধান কাটতে অনিহা প্রকাশ করে ক্ষেতেই পাকা ধান ফেলে রেখেছে। কেউ কেউ নিজের প্রয়োজনের তাগিদে নিজেই জমিতে নেমে ধান কাটছে। এমতাবস্থায় হতাশ না হয়ে শ্রমিক সংকটের কৃষকদেরকে অল্প খরচে ও কম সময়ে ধান কাটার এই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র ২০ মিনিটে এক বিঘা জমির ধান কেটে ঝাড়াই থেকে একেবারে বস্তাবন্দি সম্ভব হচ্ছে। এমন আধুনিক যন্ত্রে এবার এলাকায় চাষিদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় এক ব্যক্তির উদ্যোগে ভিন জেলা থেকে চাষের এই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে শ্রমিকরা ধান কাটতে ও ঝাড়াই করতে পারছেন। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে এক বিঘা জমিতে ধান কেটে ঝাড়াই করে বস্তাবন্দি করতে মোট খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা যা সময় লাগছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিট। একদিকে বিভিন্ন সাইক্লোনের ফলে মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট হত। অন্যদিকে দিনের পর দিন চাষিকুল দেনায় জর্জরিত হত। উন্নত প্রযুক্তির এই যন্ত্রের মাধ্যমে সেই সমস্যা যে অচিরে দূর হতে পারে।





