পরিচালকদের দাবি, এই কোর্সে ভর্তি হওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন হিসাবে ৫০ টাকা স্কলারশিপ পাচ্ছেন, যা পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহায়তায় বড় ভূমিকা রাখছে। ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরাও বাধাহীনভাবে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারছে। শুধু তাই নয়, কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারি স্বীকৃত শংসাপত্র।
advertisement
এই শংসাপত্রের জোরে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর-সহ বেসরকারি ক্ষেত্রেও কাজের সুযোগ মিলবে বলে জানিয়েছেন প্রশিক্ষকরা। স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের মতে, বহু বছর পর রাজাপুরের তরুণ প্রজন্মের জন্য এমন মানবিক ও ফলপ্রসূ উদ্যোগ দেখা গেল। আগে যেখানে কম্পিউটার শেখার সুযোগ ছিল না বললেই চলে, সেখানে এখন গ্রামেই পৌঁছে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির আলো। ইতিমধ্যেই বহু মেধাবী ও আগ্রহী ছাত্রছাত্রী এই কোর্সে ভর্তি হয়েছে।
তাদের কথায়, “বাইরে গিয়ে টাকা খরচ করে শেখার ক্ষমতা আমাদের নেই। এখানে বিনামূল্যে শেখার সুযোগ ও প্রতিদিন ৫০ টাকা স্কলারশিপ দুটোই দারুণ সহায়তা।” উৎকর্ষ বাংলার এই উদ্যোগ শুধু রাজাপুরের শিক্ষা-পরিবেশকেই বদলে দিচ্ছে না, বরং কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে। আধুনিক প্রযুক্তির দুনিয়ায় পিছিয়ে থাকা গ্রামের ছেলেমেয়েদের হাতে তাই ধরা দিচ্ছে নতুন স্বপ্ন—স্বনির্ভরতার।