কোটি কোটি টাকার লেনদেন শতদ্র দত্তর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দুই অ্যাকাউন্টে! তদন্তে নামল ED
টাকা ফেরত না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাগদা থানায় দারস্ত হন প্রতারিত মহিলারা। অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একই গ্রামের একাধিক মহিলার কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়ার পর এলাকা ছেড়ে উত্তরাখণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সোনালি রায়। মিলন কুমার নাথ, সুচিত্রা বাগচী-সহ কয়েক জন মহিলা বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উত্তরাখণ্ড থেকে সোনালি রায়কে গ্রেফতার করে।
advertisement
প্রতারিতদের মধ্যে শিপ্রা রায় নামে এক মহিলা জানান, বিড়ি বেঁধে কষ্ট করে মেয়ের বিয়ের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকাও ধার নিয়েছিলেন সোনালি রায়। কিন্তু পরে আর তা ফেরত দেওয়া হয়নি। মেয়ের বিয়ে সামনে, কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান শিপ্রা। তিনি চান, তাঁর টাকা ফেরত পাওয়া হোক এবং অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শম্পা অধিকারী বলেন, এলাকার সাধারণ মহিলাদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন সোনালি রায়। প্রতারিত মহিলারা যাতে তাঁদের টাকা ফেরত পান এবং অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, সেই দাবিও জানান তিনি।
ধৃত সোনালি রায়কে পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বাগদা থানার পুলিশ।
