শীত পড়েছে। আর শীতের জনপ্রিয় জয়নগরের মোয়া ও প্রস্তুতের পথে। আর এই মোয়া তৈরির প্রধান উপাদান খেজুর গাছ থেকে উৎপাদিত নলেন গুড়। যত দিন যাচ্ছে, আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। আগে জয়নগর ও বকুলতলা থানার এলাকার তুলসিঘাটা, ফুটিগোদা, সাহাজাদাপুর, নিমপীঠ, শ্রীপুর, বনমালিপুর,বহড়ু, মিঠানি, ময়দা, কাকাপাড়া, তাজপুর, জোড়াপুল, দক্ষিণ বারাশত সহ একাধিক জায়গায় রাস্তার পাশে, নয়নজুলির পাশে অবহেলা, অনাদরে খেজুর গাছ দেখতে পাওয়া যেত।
advertisement
আরও পড়ুন : পেশিশক্তির ঝলক, ফিটনেসে উন্মাদনা বারাসাতে! সেরা বডি বিল্ডারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বাজিমাত
কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, জঙ্গল কেটে বসতি স্থাপনের কারনে খেজুর গাছের সংখ্যা কমেছে। আর তার ফলস্বরুপ নলেন গুড়ের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। আর তাই এবার সরকারের পাশাপাশি নড়েচড়ে বসেছে জয়নগরের মোয়া কারবারিরা। খেজুর গাছ ক্রমশ কমে যাওয়ায় ভাল মানের জয়নগরের মোয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খাদ্যপ্রেমীরা। আর এই মোয়াকে বাঁচাতে বেশি করে খেজুর গাছ লাগানোর উদ্যোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে শুধু গাছ লাগানো নয়, পাশাপাশি এই চারা গাছগুলির নিয়মিত পরিচর্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন খেজুর গাছের চারা যাতে আরও বসানো হয়, সেই দিকেও প্রশাসনকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কারবারিরা। কারণ খেজুর গাছের সংখ্যা এখন গোটা জয়নগরেই অনেক কমে গিয়েছে। তাই নতুন করে এই গাছ না বসানো হলে মোয়া তৈরিতে আগামীদিনে গুড়ের আরও ঘাটতি পড়বে।





