এ প্রসঙ্গে আসাননগর কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার অশোক কুমার দাস বলেন “এই পদক্ষেপ বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই ধরনের পদক্ষেপে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি তাহলে আগামীতে এই কলেজের সঙ্গে সঙ্গে জেলা, রাজ্য এবং সর্বোপরি দেশ তামাকজাত দ্রব্য মুক্ত হবে।’’ উল্লেখ্য, তামাকজাত দ্রব্য, যেমন সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল ইত্যাদি, বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী এবং স্বাস্থ্যবিধ্বংসী উপাদান হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই বিষাক্ত দ্রব্যের কারণে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং অকাল মৃত্যুবরণ করছে। যদিও তামাক সেবনের বিপদ সম্পর্কে অনেকেই অবগত, তবুও নেশার কারণে অনেকে এই ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ করতে ব্যর্থ হন। তামাক সেবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রভাব দেখা যায় শ্বাসনালী ও ফুসফুসে। এটি ফুসফুস ক্যান্সার, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা ও এমফাইসেমার মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
advertisement
এছাড়া হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং নানা ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বহুগুণে বেড়ে যায়। তামাক সেবন শুধু সেবনকারীর জন্য নয়, তার আশেপাশের মানুষদের জন্যও ক্ষতিকর। প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপান শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। তামাকজাত দ্রব্যের উপর যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তা ব্যক্তিগত এবং জাতীয় অর্থনীতির উপর বড় ধরণের চাপ সৃষ্টি করে। একজন ধূমপায়ী প্রতিদিন যে অর্থ ব্যয় করেন, তা দীর্ঘমেয়াদে বিশাল অঙ্কে দাঁড়ায়, যা অন্য স্বাস্থ্যকর বা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যবহার করা যেত। সিগারেটের ফিল্টার এবং ধোঁয়ার মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত হয়। এতে বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস ছড়ায় যা মানবস্বাস্থ্যের পাশাপাশি প্রাণী ও উদ্ভিদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Mainak Debnath