পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন প্রান্তে ঐতিহ্যবাহী বেশ কয়েকটি প্রাচীন রথ রয়েছে। সেই সব রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথতলায় উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। এই উপলক্ষে সাত দিনের বিশাল মেলা বসে। অগণিত বাসিন্দা সেই রথযাত্রা ও মেলায় যোগ দেন। বর্ধমানের লক্ষী নারায়ণ জিও মন্দিরে রয়েছে পিতলের রথ। রাজ আমল থেকে সেই রথের রশিতে টান পড়ে। আগে সেই রথযাত্রা উপস্থিত থাকতেন রাজা সহ রাজবাড়ীর সদস্যরা।
advertisement
আউসগ্রামের দিকনগরের রথ রাজ আমলের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। বর্ধমানের রাজা এই নগরের পত্তন ঘটিয়েছিলেন। এখানে বিশাল উদ্দীপনা আড়ম্বরের সঙ্গে রথযাত্রা উৎসব পালন করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পুজোর ডালি আসে। বর্ধমানের রায়নার শ্যামসুন্দরে রথযাত্রা উপলক্ষে বহু উৎসাহী মানুষ ভিড় করেন। মন্দির শহর কালনায় বর্ধমান রাজবাড়ির রথযাত্রার দেখতে অগণিত ভক্ত ভিড় করেন। কালনার লালজি মন্দির থেকে সেই রথ বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
জামালপুরেও ঐতিহ্যবাহী বেশ কয়েকটি রথ যাত্রা উৎসব হয়ে থাকে। এখানে মালাধর বসুর বাড়ির রথ বিখ্যাত। আগে মালাধর বসুর বাড়ি থেকে পুরীর রথযাত্রার পট্টদড়ি পাঠানো যেত। কিন্তু এবার সেই রথযাত্রা উৎসবে বাদ সেধেছে করোনা। রথযাত্রা উৎসব মানেই অগণিত ভক্তের সমাগম। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। কিন্তু রথের মেলায় তা বজায় রাখা সম্ভব নয়। তাই এবার রথযাত্রা উৎসব বন্ধ রাখার কর্মসূচি নিয়েছে সব মন্দির কর্তৃপক্ষ। নিয়ম মেনে পুজো হলেও এবার রথের রশিতে টান পড়বে না অনেক জায়গাতেই।
Saradindu Ghosh