সম্প্রতি দেশের নীতি আয়োগে বাংলার মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক হয়। বাংলার রিপোর্টের প্রচ্ছদে বিহারের মানচিত্র ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করে পত্রবোমা নিক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তোলপাড়ের মধ্যেই নীতি আয়োগ সামারি রিপোর্ট প্রকাশ করল। সেই রিপোর্টে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলার সরকার অগ্রগণ্য। বেকারত্ব কমানোর ক্ষেত্রে বাংলার এই সাফল্য প্রশ্নাতীত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের রিপোর্টে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক কম। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলের বক্তব্য এটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কর্মশ্রী প্রকল্পের সৌজন্যে।
advertisement
কর্মসংস্থানমুখী কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ জোর দিয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। শিল্প মহলের চাহিদা বুঝে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে বোঝাপড়াও করেছে রাজ্য। যাতে তারা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নিতে পারে। জেলায় জেলায় সেই কাজের অগ্রগতি যাতে কোনও ভাবে বাধা না পায়, প্রশাসনের তরফে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ পেয়েছেন জেলা-কর্তারা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে শিল্প মহলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, বাজারে চাহিদার উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চাইলে তারা আইটিআইয়ের মতো সরকারি প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারে।