ক্যানিং থানার (South 24 Parganas) এক নম্বর দিঘিরপাড়ের জয়দেব পল্লির বাসিন্দারা নিরঞ্জন সর্দার৷ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি একপ্রকার সাপের সঙ্গে ঘর করছেন, সাপ তাঁর সব সময়ের সঙ্গী। সাপের ক্ষতি না করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারও চালান পেশায় মাছ ব্যবসায়ী নিরঞ্জন বাবু৷ সাপে কামড়ালে ওঝার কাছে না গিয়ে সোজা হাসপাতালে যাওয়ার জন্যও মানুষকে বোঝান তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: এ নিয়ে তৃতীয়বার মা হল শিলা, এবার জন্ম দিল ৫ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের
ক্যানিংয়ের খুচরো বাজারে একটি ছোট মাছের দোকান রয়েছে নিরঞ্জনবাবুর৷ সকাল থেকে ব্যবসা সামলানোর পর অবসর সময়ে সাপেদের সঙ্গে কাটে তাঁর৷ ভাঙাচোরা দরমার বেড়ার ঘরে বাস নিরঞ্জনবাবুর৷ সেখানেও তাঁর সঙ্গী সাপ৷ মাছের দোকান থেকে যেটুকু আয় হয়, তাই দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চলে যায়৷ পাশাপাশি সাধ্যমতো সাপেদের সেবাও করেন নিরঞ্জন৷
এলাকায় কারও বাড়িতে সাপ দেখা দিলেই ডাক পড়ে নিরঞ্জনের৷ সঙ্গে সঙ্গে লোহার শিক আর সাইকেল নিয়ে সাপ ধরতে হাজির হয়ে যান তিনি৷ নিরঞ্জন সর্দারের এই কাজকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকরাও৷ নিরঞ্জন সর্দারকে তাই এলাকাবাসী স্নেক ম্যান বলেই চেনেন৷
নিরঞ্জন সর্দারের কথায়, 'সাপ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে৷ মানুষেরও অনেক উপকার করে৷ কিন্তু তা না বুঝেই আমরা ভয় পেয়ে সাপকে মেরে ফেলছি৷'
স্থানীয় চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, 'এই কাজে ওনার মৃত্যুর সম্ভাবনাও রয়েছে৷ তাও গত তিরিশ বছর ধরে নিরলস ভাবে উনি সাপ নিয়ে মানুষকে সচেতন করে চলেছেন৷'
Anup Biswas