TRENDING:

নিমতিতাকাণ্ডে হামলার ধরণ নিয়ে ধোঁয়াশা! জঙ্গিদের কৌশল ব্যবহার হয়েছে বোমায়, অনুমান তদন্তকারীদের 

Last Updated:

সিআইডি সূত্রে খবর, নিমতিতাতে যে ধরণের বোমা ব্যবহার হয়েছে তা সাধারণ বোমার ধরণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা |

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে  নয়া তথ্য | নিমতিতাতে যে ধরণের  বিস্ফোরক  ব্যবহার হয়েছে তার মেকানিজাম বা তৈরির কৌশল  সম্পূর্ণ  আলাদা৷ সাধারণ  বোমার থেকে তা একেবারেই আলাদা বলে জানালেন তদন্তকারীরা৷ আর এতেই সন্দেহ আরও গুরুতর হচ্ছে| ফরেনসিক টিমের প্রাথমিক অনুমান, এই বোমা তৈরি নকশা কৌশলের  পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকতে পারে| সিআইডি তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার সময় নাশকতাকারীদের মধ্যে  যে কথপোকথন হয়েছিল তা যাতে হাতে নাগলে না আসে তার জন্য সেলফ ডেসস্ট্রাক্টেড অ্য়াপপ্সে ব্যবহার করে থাকতে পারে বলে অনুমান সিআইডির |  তাহলে কী জঙ্গিদের চক্রান্ত বা তাদের নাশকতার ধরণকেই অনুকরণ  করা হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন |
advertisement

সিআইডি  সূত্রে খবর, নিমতিতাতে যে ধরণের বোমা ব্যবহার হয়েছে তা সাধারণ  বোমার ধরণ  থেকে সম্পূর্ণ  আলাদা | বোমার মেকানিজম  দেখে ফরেনসিকের  প্রাথমিক সন্দেহ, এই বোমা তৈরির  নকশা কৌশলের পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে | এই ঘটনায় জঙ্গিরা সরাসরি যুক্ত করেছে এমন  নয়  | কিন্তু বোমা তৈরির  ধরণ  বা কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে মিল রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে | কারণ  ওই এলাকায় মূলত  তিন ধরণের বোমা ব্যবহার  হয় | প্রথমত, সুতি  এলাকায়  সুতলি বোমা  বেশি ব্যবহার হয় | দ্বিতীয়ত,  ডোমকলে  সকেট বোমা  বেশি ব্যবহার হয় | তৃতীয়ত, কান্দিতে কৌটো বোমা ব্যবহার হয় |  কিন্তু নিমতিতার  ক্ষেত্রে বোমাতে লোহার বাটি ব্যবহার করা  হয়েছে, ট্রিগার মেকানিজাম  পুরো আলাদা রকমের বলে দাবি তদন্তকারীদের | যা কিনা সিআইডি থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে | বোমা  তৈরির  ধরণেও  রয়েছে জটিলতা | সাধারণত  বোমা থেকে এটা একদমই   আলাদা |

advertisement

সিআইডি  তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার সময় ও পরিকল্পনাকারীদের  মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল তা যাতে  হাতের নাগালে না আসে, তার  জন্য  সেলফ  ডেস্ট্রাক্টেড অ্য়াপপ্সের  ব্যবহার করে থাকতে পারে নাশকতাকারীরা | অর্থাৎ  এধরণের সিস্টেম আইডিয়া  সাধারণত  জঙ্গিরা ব্যবহার  করে বলে দাবি তদন্তকারীদের |  নিজেদের কথোকথন  যাতে তদন্তকারীদের হাতে না আসে সেই জন্য এই মিশন  বা লক্ষ্য  পূর্ণ হলে ওই অ্যাপপ্সকে নষ্ট করে ফেলা হয় | সিআইডি সূত্রে খবর, এই অ্যাপপ্স দুভাবে নষ্ট করা যায় | প্রথমত, ব্যবহারকারী  নিজের ফোন  থেকে ওই অ্যাপপ্স সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করতে পারে | যাকে বলে সেলফ ডেস্ট্রাকশন প্রক্রিয়া | দ্বিতীয়ত  হল যে  গোষ্ঠী   ওই অ্যাপপ্স তৈরি করেছে তারা  অপারেশন  শেষ হলে অন্য জায়গাতে বসে  রিমোটের মাধ্যমে ওই  অ্যাপপ্স নষ্ট করে দিতে পারে |  কারণ অপারেশন  বা মিসন  সাকসেসফুল  হলে অনেক সময় যে বা যারা স্পটে থাকে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে | তাই তাদের ক্ষতি হলেও যাতে প্রমাণ  তদন্তকারীরা হাতে না যায় তার জন্য এই ব্য়বস্থা | সিআইডি  সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের হাতে যাতে ফোনে কোনও টাওয়ার লোকেশান  বা কথোপকথন নাগালে না পাওয়া যায় সেই জন্য এরকম প্রমাণ  শূন্য  সেলফ  ডেস্ট্রাকশন অ্যাপপ্স ব্যবহার করে থাকতে পারে হামলাকারীরা  বা নাশকতাকারীরা |  এমনটাই অনুমান সিআইডির  |

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ছট পুজো ঘাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ি! জারি করা হল 'এইসব' নির্দেশ
আরও দেখুন

ARPITA  HAZRA   

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নিমতিতাকাণ্ডে হামলার ধরণ নিয়ে ধোঁয়াশা! জঙ্গিদের কৌশল ব্যবহার হয়েছে বোমায়, অনুমান তদন্তকারীদের 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল